২০১৯ সালেও দেশে থাকতে হবে, ইসিকে বললেন রব

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 08:30:33

২০১৯ সালের জানুয়ারির পরও দেশে থাকতে হবে সেটি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেএসডির সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম রব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু হয় সে বিষয়ে কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন না, নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আমরা বলেছি আপনারা জনগণ, আমরাও দেশের জনগণ। আমাদের মা-বাবা, সন্তান নিয়ে দেশে থাকব। ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর আমাদের ও নির্বাচন কমিশনকেও দেশে থাকতে হবে। আপনারা সেভাবে কাজ করবেন, যাতে আপনারাও দেশে থাকবেন সে বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপি’র সহ-সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি নেতা নঈম জাহাঙ্গীর, শাইরুল কবির প্রমুখ।

বৈঠকে কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখনই তফসিল ঘোষণা না করতে বলব কমিশনকে। তফসিল আরো পেছানোর দাবি করব।’

সংলাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংলাপে আমাদের দাবি হল সংসদ ভেঙে দেওয়া। ফলে সংলাপের সিদ্ধান্ত আসার পরেই তারা (ইসি) তফসিল ঘোষাণা করবে। সেটা যদি ৭ নভেম্বর হয় তাহলে ৮ তারিখ তফসিল ঘোষণা করবে।’

এ সময় রব বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, তারা ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার বিষয়ে অটল না।’

ইসির প্রতি ঐক্যফ্রন্টের আস্থা রয়েছে কি না জানতে চাইলে মান্না বলেন, ‘এই কমিশনের প্রতি আস্থা রাখার কোনো বিষয় না।’

ইভিএম প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি, ভোটাররা ইভিএম চায় না, রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএম চায় না। নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ সংস্থা, তারা কেন ইভিএম চাইবে? কমিশনকে বলেছি, ইভিএম বিষয়ে আপনারা সিরিয়াস হবেন না। তবে তারা আমাদের ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানায়নি।’

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রব বলেন, ‘সিইসি আমাদের জানিয়েছেন, সেনা মোতায়েন হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোথাও কথা বলেনি। তার অর্থ হলো নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। আমরা বলেছি, অতীতের মতো নির্বাচনে সেনা বাহিনী রির্জাভ ফোর্স হিসেবে রাখলে হবে না। সেনাবাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে মোতায়েন করতে হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফল ঘোষণার যে নীতিমালা আছে, রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং অফিসার যেভাবে সিল মেরে, স্বাক্ষর করে ফল ঘোষণা করে। এবার সেটা পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত দিতে হবে। ফলাফলে পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষরও ফলে থাকতে হবে।  কারণ অনেক সময় কারচুপির জন্য পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর আগে নিয়ে নেওয়া হয়। ফল গণনার আগে এজেন্টদের স্বাক্ষর নেওয়া যাবে না।’

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপি’র সহ-সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি নেতা নঈম জাহাঙ্গীর, শাইরুল কবির প্রমুখ।

বৈঠকে কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর