শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় ফিরল মালয়েশিয়া

ঢাকা, জাতীয়

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-31 22:27:15

আবারও জি-টু-জি’তে ফিরছে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া। এর ফলে ২০১৬ সালের জুন মাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) প্রক্রিয়া আবারও চালু হতে যাচ্ছে।

বেসরকারি প্রক্রিয়ায় শ্রমিক আমদানিতে ব্যাপক দুর্নীতি পাওয়ায় চলতি বছরের শুরুতেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দেয় নেপাল সরকার। দেশটিতে ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকদের পরেই নেপালি শ্রমিকের সংখ্যা। নেপাল সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান। একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) মালেয়েশিয়ার সংসদের লবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।

২০১৫ সালের আগস্ট মাস থেকে জি-টু-জি প্লাস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি হয় মালয়েশিয়ার সঙ্গে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের কাছ থেকে সাড়ে তিন থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের প্রতি। ফলে গত জুলাই মাসেই আবারও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মাহাথির সরকার।

এর আগে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল মালয়েশিয়া। সরকারিভাবে কর্মী পাঠাতে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর দেশটির সঙ্গে জি-টু-জি চুক্তি করে বাংলাদেশ। জনপ্রতি ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে প্ল্যান্টেশন খাতে পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ কর্মী যাওয়ার কথা ছিল। প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ কর্মী নিবন্ধন করেন। কিন্তু তিন বছরে এ পদ্ধতিতে মাত্র ৯ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যান। জি-টু-জির ব্যর্থতায় ২০১৫ সালের জুনে ঘোষণা করা হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় (বি-টু-বি) কর্মী পাঠানো হবে। দুই মাস পর ঘোষণা আসে, সরকারি নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাবে। যাকে বলা হয় জি-টু-জি প্লাস।

মন্ত্রী এম কুলাসেগারান জানিয়েছেন, সরকার এরই মধ্যে নেপাল সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। দেশটি থেকে সিকিউরিটি গার্ডের পাশাপাশি গৃহকর্মীর চাহিদাও চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় সমঝোতা হবে সেখানে বর্তমানে সক্রিয় সব ধরনের মধ্যসত্ত্বভোগীদের দূর করা হবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এ বিষয়ে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। নেপালের সঙ্গে যেমনটা হয়েছে তেমনি একটি জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় শ্রমিক আনার জন্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর