প্রতিমা বিসর্জনে দেশের সমৃদ্ধি কামনা

বিবিধ, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 22:24:35

 

‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’-‘বলো দুর্গা মায় কি’-‘আসছে বছর আবার হবে’ ধ্বনীতে মুখরিত হয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় খুলনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ হলো।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) খুলনার ভৈরব নদের ফুলতলা ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বিসর্জনের সময় দু’পাড়ে ভিড় জমান হাজারো ভক্ত, পুজারী, দর্শনার্থী।

দুপুর গড়িয়ে বিকাল থেকেই খুলনার ভৈরব নদের ফুলতলা সিকিরহাটে প্রতীমা বিসর্জন শুরু হয়। নদীতে শতাধিক নৌকা ভাসিয়ে চলে বিসর্জন। এ নদীতে ফুলতলা, দামোদর, জামিরাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার থেকে হিন্দুরা প্রতীমা বিসর্জনের জন্য আসে।

এ অঞ্চলে প্রতীমা বিসর্জন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ মেলা, পালাগান, আতশ বাজি, আগুন খেলাসহ ঐতিহ্যবাহী সব অনুষ্ঠান। দূর-দূরান্ত থেকে এ সকল আয়োজন উপভোগ করতে আসেন অনেকে।

অন্যদিকে নগরীর জেলখানা ঘাট, হেলাতলা সোনাপট্টি, বড় বাজার, কালিবাড়ি, আর্য্য ধর্মসভা কালি মন্দির, শীতলাবাড়ি মন্দির, শান্তিধাম মোড় পঞ্চবিথী, টুটপাড়া গাছতলা মন্দির, শিববাড়ী কালিমন্দির, কয়লাঘাট মন্দির, রূপসা মহাশ্মশান, বয়রা সার্বজনীন মন্দির, পৈপাড়া মণ্ডপের প্রতীমা বিসর্জন করা হয়। এছাড়া খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের চরেরহাট ঘাট, দৌলতপুর ঘাট ও রেলগেট নগর ঘাটে মহানগরীর অন্যান্য মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।

এর আগে সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলে সিঁদুর খেলা। বিজয়া দশমীর বিদায়ের সুরের মাঝেও সর্বত্র ছিলো দুর্গাপূজার ঔজ্জ্বল্য। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আশা, এবারের দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

বরিশাল: এদিকে দেবীর বিদায়ের কষ্ট ভুলে থাকতে এবং হাসিমুখে বিদায় জানানোর জন্য সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে বরিশাল নগরীর পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গন। লাল শাড়ি, সাদা পাড় পোশাকে  দেবীকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর জন্য দীর্ঘ লাইন। মুখ রঙিন করে হাসি মুখে মাকে বিদায় জানানোর জন্যই অনেকেই এসেছেন সিঁদুর খেলতে।

বাদ্যের তালে তালে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে বিদায়ের প্রস্তুতি। রাত ১২টার মধ্যে সব মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করবে বলে জানিয়েছে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

কক্সবাজার: প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। শোক ও শ্রদ্ধায় মা দুর্গাকে বিদায় জানায় লাখো সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিজয় দশমি উপলক্ষ্যে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে  কক্সবাজার পূজা উদযাপন পরিষদ।

নাচে-গেয়ে প্রতিমা বিসর্জনে যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লাখো মানুষ। এতে সৈকত জুড়ে এক উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। 

অন্যদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমার বার্তা ২৪.কমকে জানান, প্রতিদিনের চেয়ে অর্ধ- শতাধিক পুলিশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়ন্দা  নজরদারি রাখা হয়েছে পুরো সমুদ্র সৈকতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর