বিদ্যুতের খুঁটি যেন মরণ ফাঁদ!

খুলনা, জাতীয়

সোহাগ আলী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 22:41:00

ঝিনাইদহের শৈলকুপার মধুপুর গ্রামে বিদ্যুতের তার যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে বসবাস করছে। গ্রামটিতে বাঁশের খুঁটি ও গাছের সঙ্গে তার বেঁধে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বার বার বলার পরেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

এলাকা ঘুরে জানা যায়, মধুপুর গ্রামটিতে প্রায় ৩ হাজার মানুষের বসবাস। এ গ্রামের প্রায় ২৫০ পরিবারে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা ওজোপাডিকো কার্যালয় এ বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছে। ৯০ দশকে এ গ্রামে কংক্রিট ও কাঠের পোল (খুঁটি) দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে পোলগুলো ভেঙে গেলেও তা আর পরিবর্তন করা হয়নি। বাঁশ ও গাছকে বর্তমানে পোল হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুতের সংযোগ চালু রাখা হয়েছে। বিদ্যুতের তারগুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। কোথাও কোথাও এসব বিদ্যুতের তার টিনের ঘরের চাল ও বাড়ির উপর দিয়ে নিয়ে সংযোগ দেয়া হয়েছে। এতে ঝুলে পড়া এসব বিদ্যুতের তারের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যুৎ বিভাগকে বার বার জানানোর পরও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আতঙ্ক ও ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।

স্থানীয় বাসিন্দা মসিউর রহমান বলেন,‘আমরা কর্তৃপক্ষকে বলার পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায়ভার কে নেবে? বাড়ির ভেতরে ভেঙে যাওয়া পোলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। চলাফেরা করতে গেলে বিদ্যুতের তার মাথায় বেঁধে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে থাকতে হয়।’

গ্রামবাসী নতুন পোল ও তার দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দ্রুতই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শৈলকুপা (ওজোপাডিকো) আবাসিক প্রকৌশলী শামীম শরিফ বলেন,‘পৌরসভার মধ্যে আগে কাজ করা নির্দেশনা রয়েছে। এ কাজ শেষ হলেই আমরা দ্রুত ওই গ্রামের বিদ্যুতের পোল ও তার সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর