শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 17:44:38

সংসদ থেকে: রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মজুরি ১১ হাজার ২০০ টাকা করে সংসদে ‘পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীর মতো শ্রমিকরাও নববর্ষ ভাতা পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ হয়।

নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বিলটিতে সরকারি শ্রমিকদের বেতন শতভাগ বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মজুরি ১১ হাজার ২০০ টাকা। সরকার গঠিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন রাষ্ট্রায়ত্ত শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করে।

বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন ৪ হাজার ১৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬০০ টাকা।

শ্রমিকদের এই মজুরি ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে এবং ভাতা ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীর মতো শ্রমিকরাও নববর্ষ ভাতা পাবেন।

২০১৫ সালে সরকারি চাকরিপ্রাপ্তদের বেতন বাড়ানোর পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকে চেয়ারম্যান করে ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫’ গঠন করা হয়।

এই কমিশন গত বছরের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম ৮ হাজার ৩০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬০০ টাকা মজুরি নির্ধারণের সুপারিশ করেছিল।

এর আগে ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১০’ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ মজুরি ৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছিল।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন এবং বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনে কর্মরত শ্রমিকরা এই আইনের আওতায় পড়বেন বলে প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, সময়ের নিরিখে ২০১২ সালের মজুরি কাঠামো বর্তমানে শ্রমিকদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয় বিধায় সরকার নতুন মজুরি কাঠামো প্রবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করে। এ উদ্দেশে গঠিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর