‘সুষ্ঠু, অবাধ  নির্বাচন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ পিছপা হবে না’

ঢাকা, জাতীয়

বার্তা২৪ টিম | 2023-08-25 08:27:51

সুষ্ঠু, অবাধ  নির্বাচন আমাদের প্রতিজ্ঞা, আমরা আওয়ামী লীগ এটা করতে পিছপা হব না। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে উৎসবমূখর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) “শান্তিতে বিজয়” ক্যাম্পেইনের জাতীয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শান্তি না থাকলে, গণতন্ত্র না থাকলে, কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। নির্বাচনের সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা জনযুদ্ধ করে দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুই আমাদের গণতন্ত্রের কথা শিখিয়েছে। শান্তির জন্য আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি। আজ বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করতে হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান বলেন, গণতন্ত্র হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মূলমন্ত্র। ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না। ভোটার তার ইচ্ছামত প্রার্থী নির্বাচন করবে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। সামাজিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের মধ্যে শান্তি নিহিত আছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, শান্তি, পারস্পরিক সহনশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাব বাংলাদেশে এসব কিছুর রয়েছে এক জোরালো ঐতিহ্য। একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা একটি রাষ্ট্রের জন্য। সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।

রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকদের অবশ্যই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ প্রচারণা চালোনো ও ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক তার বক্তব্যে বলেন, ব্রিটেন গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সব ক্ষেত্র এ সহযোগীতা  অব্যাহত থাকবে। নিয়মিত নির্বাচন একটি গণতন্ত্রের জন্য প্রধান অঙ্গ যা সকলকে মিলে বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ চায় একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সহঅবস্থা। যখন সহিসংসতা হয় তখন যারা ঘটায় তারা ছাড়াও গোটা দেশ ক্ষতির সম্মুখিন হন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঢাকায় একই মঞ্চে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস নির্বাচনের শপথ গ্রহণ করেছেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর