সেচ ভর্তুকি সুবিধা পাচ্ছে না চাষি

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 02:09:54

মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা কৃষি সেচ খাতে কোটি টাকার ভর্তুকি দিলেও তার সুবিধা পাচ্ছে না প্রান্তিক চাষিরা। এ সুবিধা শুধুমাত্র ভোগ করছে সেচ পাম্প মালিকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় বিদ্যুৎ চালিত শতাধিক গভীর নলকূপ, সোলার ৭০টি, ৩০ হাজার স্যালো ইঞ্জিন এবং ২৬টি পাওয়ার পাম্প রয়েছে। আমন, বোরো ও আউশ মৌসুমে জেলার চাষিরা ধান চাষ করেন। ২০০২ সাল থেকে মোটর চালিত সেচ পাম্পে মোট বিলের উপর শতকরা ২০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। যা প্রতি মাসে বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয় বলে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

চাষিরা জানান, ধান আবাদে মৌখিক চুক্তিতে সেচ পাম্প কিংবা স্যালো ইঞ্জিন মালিকরা চাষিদের ক্ষেতে সেচ দিয়ে থাকেন। মৌসুমের শুরুতে তারা কোনো টাকা নেন না। ধান কাটার পর সেচ খরচ বাবদ ধান কিংব নগদ টাকা গ্রহণ করেন সেচ যন্ত্রের মালিকরা। বোরো মৌসুমে বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত খরচ নেন তারা। এছাড়াও আমন ও আউশ মৌসুমে ধান চাষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দর হিসেবে টাকা নেন মালিকরা। জলবায়ু পরিবর্তন ও সারা বছরই বিভিন্ন প্রকার ফসল আবাদের জন্য সেচের পানি অপরিহার্য।

সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের চাষি আকবর আলী জানান, সেচ পাম্প মালিকরা যে পরিমাণ টাকা নেন তা অনেক বেশি। বিঘা প্রতি সেচের প্রকৃত খরচ হয় আনুমানিক এক হাজার টাকা। কিন্তু সেচ পাম্প মালিকদের অঘোষিত সিন্ডিকেটের কারণে চাষিদের আর কিছুই করার থাকে না।

এ উপজেলার ঢেপা গ্রামের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প মালিক মুক্তারুল ইসলাম জানান, বিঘা প্রতি তিনি আড়াই হাজার টাকা খরচ নেন। এতে বিঘায় তার ৫শ টাকা লাভ থাকে। সারা মৌসুমে শ্রমিক দিয়ে চাষিদের ক্ষেতে সেচ দিতে হয়। বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে সেচ পাম্প মালিকদের তেমন কিছুই থাকে না।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ফখর উদ্দীন জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প মালিকদের মূল বিদ্যুৎ বিলের ২০ ভাগ কমিয়ে বিল প্রস্তুত করা হয়। আর এ টাকা সরকারের কাছ থেকে নেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সেচ পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কয়েকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে চাষিদের ভর্তুতি দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের মন মানসিকতার ঠিক নেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর