ট্রাফিক আইন অমান্যে ‘নো কম্প্রোমাইজ’

রংপুর, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-10 13:21:29

রংপুর: সড়কে দুর্ঘটনা রোধে মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারে শতভাগ সফলতা না আসা পর্যন্ত ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম।

তিনি বলেন, `সড়কে শৃঙ্খলা আনতে মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে ফিটনেসবিহীন ভারী যানবাহন ও ধীরগতির গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ নীতিতে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা চলছে। কাউকে আর ছাড় দেয়া হবে না।‘

বুধবার দুপুরে (৫ সেপ্টেম্বর) রংপুর মহানগরীর পর্যটন মোটেল আরকে রোড মহাসড়কে জনসচেতনতামূলক একটি র‌্যালি শেষে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।

এ সময় সেখানে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ, রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতারুল আলম, ট্রাফিক ইনচার্জ খান মো. মিজানুর ফাহমি, পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসপি মিজানুর রহমান বলেন, `সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সময় দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বেশির ভাগের মাথায় হেলমেট নেই। আমরা চাই দুর্ঘটনা রোধ ও ক্ষতির পরিমাণ কমাতে। তাই মোটরসাইকেল চালকদের বাধ্যতামূলক হেলমেট ব্যবহার করতে হবে।‘

তিনি বলেন, `যেহেতু পেট্রল বা অকটেন ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো সম্ভব নয়। এ কারণে আমরা পাম্প ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে সভা করে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন মানাতে বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে জেলার ৩৮টি পাম্পের মালিকরা আমাদের সহযোগিতা করছে। যতদিন হেলমেট ব্যবহারে শতভাগ সফলতা আসবে না, ততদিন ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যারা খোলাবাজারে পেট্রল বা অকটেন বিক্রি করছে তাদের ব্যাপারেও নজরদারি রাখা হচ্ছে।‘

তিনি আরও বলেন, `মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ উদ্যোগটি সাড়া ফেলেছে। সড়কে এখন হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা বেড়েছে। এই সচেতনতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পুলিশ প্রশাসন জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।‘

এরআগে সকালে নগরীর বিভিন্ন পাম্পে মোটরসাইকেল চালক ও অরোহীকে ফুল, সচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার দেয়া হয়। এছাড়া পাম্পে পাম্পে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ লেখা সম্বলিত ব্যানার, সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন লাগানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর