আওয়ামী লীগের সাধারণ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় করছে তারাই বলছে নির্বাচন হবে না। আগামী ৯ তারিখ সংসদের শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশন শেষ হলে এমপিদের আর সংসদীয় ক্ষমতা থাকবে না। ফলে নির্বাচনের মাঠে কোনো ধরনের প্রভাব খাটানোর সুযোগ থাকবে না; ইসির আইন অনুযায়ী চলতে হবে সবাইকে। তাই যারা সংসদ নিয়া কথা বলছেন তাদের কথা ভিত্তিহীন।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) পলাশীর মোড়ে জন্মাষ্টমীর ঐতিহাসিক শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক পোলারাইজেশন হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের নামে। বিএনপির এই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না, সতর্ক থাকতে হবে। না হলে ভয়াবহ দিনের সম্মুখীন হতে হবে।
এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে কাছ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০০১ ও ২০০২ সালে বিএনপি জামাত জোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কি ভয়াবহ অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল। তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এর থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাই এই অপশক্তিকে রুখে দিতে শেখ হাসিনার সরকারকে আগামী নির্বাচনে জয়ী করতে হবে। কেননা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারই একমাত্র সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার।
দেশে দুই ধরনের শত্রু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে প্রকাশ ও গোপন শত্রুরা এখন তৎপর। তবে প্রকাশ শত্রু থেকে গোপন শত্রুরা ভয়ানক বেশি। তারা আগামী নির্বাচনে হারবে বলে দেশে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচন বানচালের জন্য। তারা যাচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করে দেশে অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে আমাদের রুখে দিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির হতে পলাশী বাজার মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,দোয়েল চত্বর,হাইকোর্ট বটতলা, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ফিনিক্স রোড ,গোলাপশাহ্ মাজার, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার,গুলিস্তান,নবাবপুর রোড,রায় সাহেব বাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা শেষ হয়।