দ্রুত মেয়াদ হারায় যে খাবারগুলো

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 13:23:48

প্রাকৃতিক কিংবা প্রক্রিয়াজাত প্রতিটি খাবারেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে।

মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে সেই খাদ্যদ্রব্যটি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের মেয়াদ বুঝে নিতে হয় খাবারটির অবস্থা নিরীক্ষণের মাধ্যমে। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করে দেওয়া থাকে।

তবে কিছু খাদ্য উপাদান মেয়াদোর্ত্তীণের আগেই মেয়াদ হারিয়ে ফেলে। খাবারটির পচন প্রক্রিয়া অন্যান্য খাবারের চাইতে দ্রুত হবার কারণে এমনটা হয়। এই ধরণের কয়েকটি খাবারের নাম জেনে রাখুন।

সসেজ

সসেজ হলো অন্যতম হেভি প্রসেসড মাংস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা মনে মনে করি যে, সসেজের মেয়াদ লম্বা সময় থাকবে। যেখাবে ঘটনা একেবারেই উল্টো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশ্ন (FDA) এর তথ্যানুসারে, সসেজের প্যাকেট খোলার পর সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সসেজ খাওয়ার উপযোগী থাকে। সসেজের প্যাকেটে মেয়াদ যতদিন পর্যন্তই থাকুক না কেন, দুই সপ্তাহের পর সসেজ খাওয়া উচিৎ হবে না।

রসুন

ভীষণ উপকারী প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানটি সুস্বাস্থ্যের জন্য যতই প্রয়োজনীয় হোক না কেন, বাজার থেকে ফ্রেশ রসুন কেনার পর খুব বেশিদিন সংরক্ষণ না করার জন্যে পরামর্শ দেয় FDA. ঘরোয়া তাপমাত্রায় অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ করলে দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত রসুন ভালো থাকবে। এছাড়া কুঁচি করে রসুন বড়জোর কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত ঠিক থাকলেও, এরপর থেকেই রসুনে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন শুরু হয়ে যায়।

মেয়োনেজ

ইনট্যাক মেয়োনেজের মেয়াদ বোতলে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত ঠিক থাকলেও, মেয়োনেজের মুখ খোলা হলে সেই মেয়াদ কমে যায় বেশ অনেকটা। রেফ্রিজারেটরে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হলেও, মেয়োনেজের মুখ খোলার এক মাসের মাঝে খেয়ে শেষ করে ফেলতে হবে। এছাড়া ব্যবহারের জন্য রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা হলেও, কাজ শেষে দ্রুত ফ্রিজে রাখতে হবে।

টমেটো সস

টমেটো সসের বোতলের মুখ খোলার সাথে সাথেই বাইরের বাতাসের সংস্পর্শে আসে সস। যা সসের উপাদানের মাঝে তারতম্য এনে দেয়। যে কারণে মেয়োনেজের মতো টমেটো সসও এক মাসের মাঝে ব্যবহার করে ফেলতে হবে বলেই জানায় FDA.

বাড়তি খাবার

বাড়তি খাবার যতই এয়ারটাইট বক্সে ও রেফ্রিজারেটরের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রায় রাখা হোক না কেন, সর্বোচ্চ দুই দিনের বেশি এই খাবার রাখা উচিৎ হবে না। বেঁচে যাওয়া রান্না করা খাবারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় অনেক বেশি দ্রুত। যা পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন: মেয়াদ নেই যে সকল খাদ্যের

আরও পড়ুন: তাক লাগানো তোকমা দানা

এ সম্পর্কিত আরও খবর