পানিশূন্যতায় ফলের রসের বিকল্প

, লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-03-19 13:24:59

চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করে ক্লান্তি চলে আসে। স্বাভাবিকভাবেই কয়েক প্রহর নির্জলা থাকায় শরীরে পানিশূন্যতা হয়। দিনশেষে ইফতারে তাই উপকারী খাদ্য উপাদান সহ বেশি করে পানীয় গ্রহণ করা উচিত। এ কারণেই ইফতারে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান হলো শরবত। সাধারণত বেল, তরমুজ, বাঙ্গী, আম, পেঁপে ইত্যাদি ফলের শরবত বানানো হয়।  

গরম এবং পানিশূন্যতায় গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ইফতারে বিভিন্ন শরবতের আয়োজন করা হয়। ঠান্ডা এসব শরবত শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে। সতেজতার অনুভব ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন তাজা ফল দিয়ে জুস বানানো হয়। তার সাথে স্বাদ বৃদ্ধি করতে আরও বেশ কিছু উপাদান যোগ করা হয়। তবে ফলের জুস ছাড়াও আরও কিছু পানীয় আছে, যা শরীরের জন্যও উপকারী। পানিশূন্যতা দূর করতে এসব পানীয় হতে পারে জুসের বিকল্প অথবা সহযোগী।

ডাব: শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের বিকল্প হয় না। ডাবের পানি খনিজে পরিপূর্ণ অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম- এর মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ থাকার তৎক্ষণাৎ দুর্বলতা দূর করতে পারে।     

স্যুপ: যারা গরম পানীয় পছন্দ করেন এবং ঠান্ডা বা গলাব্যথার সমস্যায় ভুগছেন তারা স্যুপ বা ব্রথ খেতে পারেন। সবজি বা মাংসের হাড়ের সাহায্যে স্যুপ বানিয়ে খেলে সেসব পানিশূণ্যতা দূর ককরার পাশাপাশি শরীরে আমিষ এবং ভিটামিনও সরবরাহ করে।

সবজির জুস

সবজি জুস: ফলের জুসের একটি ভালো বিকল্প হলো সবজির রস। গাজর, বিটরুট বা শসার মতো সবজির জুস অনেক স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদুও।   

পানিজাতীয় ফল ও সবজি: পানির বিকল্প হতে পারে পানি প্রধান ফল। নাশপাতি, তরমুজ, পেঁপে, আঙ্গুর-ইত্যাদি ফলে অনেক বেশি পরিমাণে পানি থাক। এছাড়া মিষ্টিকুমড়া, শশার মতো সবজিও পানির আধিক্য থাকে। তাই পাানিশূণ্যতা রোধে এই খাদ্যগুলোও সাহায্য করতে পারে।   

দুধ: হাড় শক্ত করার গুণাগুণের জন্য দুধ বেশি পরিচিত। তবে, পানিশূন্যতা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে এই পানীয়। ১ গ্লাস দুধের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগের কাছাকাছি পানি থাকে। তার সাথে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজও। ফোটানো দুধ বা দুধজাতীয় খাবার পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।      

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন 

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর