শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় ? জানুন সমাধান

স্বাস্থ্য, লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-11-16 13:31:48

শীতকাল (Winter) বড় আমুদে ঋতু। ঘোরা, ফেরা, খাবার খাওয়ার স্বাধীনতা এই ঋতুর মতো অন্য কোনও সময়েই পাওয়া যায় না। তাই আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বেশিরভাগ মানুষই শীতের অপেক্ষায় থাকেন। তবে আমার জন্য যা ভালো, অন্যের জন্যও যে তাই হবে, এমনটা নয়।

অনেক মানুষ আছেন যাঁরা শীতকালে ভীষণ ভয়ে ভয়ে থাকেন। এমনই একদল মানুষ হলেন যাঁদের শীতে হাত-পা (Hand-Foot) বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। এই সমস্যায় ভোগা মানুষ ঠান্ডার দিনে বেশ আতঙ্কেই থাকেন। কারণ হাত-পা ঠান্ডা হলে গেলে তাঁদের বেশ অস্বস্তি হয়। কারও কারও ব্যথার অনুভূতিও হয়। তাই এই মানুষগুলো সবসময় হাত-পা গরম করার কথা ভেবে থাকেন।

কেন শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়?
আসলে রক্তপ্রবাহই আমাদের শরীরকে গরম রাখে। এবার শীতকালে ঠান্ডার কারণে হাত এবং পায়ের রক্তনালী সংকুচিত হয়। ফলে শরীরের এই অংশে রক্তপ্রবাহ অনেকটাই কমে যায়। এই কারণে শরীরের এই অংশে ঠান্ডার অনুভূতি বেশি থাকে। তবে সকলের এমনটা হয় না। কিছু কিছু মানুষ এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। বিশেষত, বয়সকালে এই সমস্যা বেশি হয়। তবে ছোট বয়সেও এই জটিলতা আসতে পারে। আর সমস্যা থাকলে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

হাত-পা গরম রাখার উপায় কী?
মোজা ও গ্লাভস পরুন
ভালো কাপড়ের গ্লাভস, মোজা পরুন। এই পোশাক আপনার হাত ও পা থেকে গরম বেরিয়ে যেতে দেবে না।

তেল মালিশ
হাত-পায়ে সরষের তেল মাখতে পারেন। ভালো করে মালিশ করবেন। এরফলে হাতে-পায়ে রক্তপ্রবাহ বাড়বে। গরম অনুভূতি মিলবে। বিশেষত, শীতের রাতে তেল মাখতেই হবে।

ব্যায়াম
শরীরকে গরম রাখার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উপায় হল এক্সারসাইজ করা। দিনে নিজের মতো করে ব্যায়ামের সময় বের করুন। ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে। দেখবেন অবস্থা বদলেছে। আর ততটা ঠান্ডা লগাছে না। কারণ এক্সারসাইজ করলে সারা শরীরেই ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে।

হিটিং প্যাড
সমস্যা খুব বেশি হলে অবশ্যই হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। হিটিং প্যাড দিয়ে হাত-পায়ে সেক দিন। তবে রোজ এমনটা না করলেও চলবে। যেদিন সমস্যা বেশি মনে হবে সেদিনই হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। দেখবেন আরাম মিলবে।

শাক সবজি খান
রক্তেরপ্রবাহ কম থাকার অন্যতম কারণ হল অ্যানিমিয়া। তাই রক্তরপ্রবাহ বাড়াতে আয়রন যুক্ত খাবার খান যেমন- শাক, সবজি, মাংস, মাছ ইত্যাদি।

পর্যাপ্ত পানি পান
ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম হওয়া স্বাভাবিক। কিন্ত তাই বলে পানি পান কমানো যাবে না। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তবেই শরীর থাকবে হাইড্রেটেড।

 

 

তথ্যসূত্র- এইসময়

এ সম্পর্কিত আরও খবর