ব্যক্তিগত যে জিনিসগুলো কখনোই শেয়ার করা উচিৎ নয়

স্বাস্থ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-29 08:50:56

শারীরিক সুস্থতার জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

‘পারসোনাল হাইজিন’ সম্পর্কে সচেতন না হলেই দেখা দিতে পারে বিপত্তি। নিজের পরিধেয় পোশাক, গহনা, নিজের বিছানা, ঘর, গাড়ি এমনকি অফিসে নিজের বসার স্থানটি পর্যন্ত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।

তবে সবকিছু পরিষ্কার রাখার পরেও অসুস্থতা যেন পিছু ছাড়েই না অনেকের। এক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে, নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের কোন জিনিস অন্যের সঙ্গে শেয়ার করছেন কিনা। ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং’- কথাটা নিজের সুস্থতার ক্ষেত্রে কখনোই প্রযোজ্য নয়। নিজের ব্যবহৃত চিরুনি অন্যের সঙ্গে শেয়ার করার ফলে যদি আপনি মাথার ত্বকের রোগে আক্রান্ত হন, তবে আপনাকেই ভুগতে হবে। যে কারণে কিছু একান্ত ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস কখনোই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা উচিৎ নয়।

অন্তর্বাস

যেকোন ধরণের অন্তর্বাসে প্রচুর পরিমাণ লুকায়িত ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু থাকে। যা প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন মানবদেহ ভেদে ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। তার পেছনের কারণ হলো- খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভ্যাস, জীবনযাপনের ধরণ প্রভৃতি। এছাড়া হরমোন ও আবহাওয়া ও স্থানজনিত কারণেও একেক মানুষের শরীরে একেক ধরণের জীবাণু পাওয়া যায়। অন্তর্বাসের মতো একান্ত ব্যক্তিগত জিনিস যে কারণে কখনোই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা উচিৎ নয়। যতই পরিষ্কার করে ব্যবহার করা হোক না কেন, কিছু জীবাণু কখনোই ধ্বংস হয় না। যা একজনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়ালে বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বর রোগের উপদ্রব দেখা দিতে পারে।

সাবান

প্রতিটি বাসাতেই দেখা যায়, একটি সাবান দিয়ে পরিবারের সকলে গোসল সেরে ফেলছেন। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। একজনের ব্যবহৃত সাবান অন্যের ব্যবহার করা একেবারেই উচিৎ নয়। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সোপ শরীরের জীবাণু ধ্বংস করতে পারে কিনা সেটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না হলেও, সাবানে ব্যবহারকারীর শরীরের মরা চামড়া ও জীবাণু লেগে থাকে সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। যে কারণে সাধারণ হাত পরিষ্কার করার জন্য লিকুইড সোপ ও গোসলের জন্য বডি ওয়াশ ব্যবহার করা শ্রেয়।

লোফাহ

সাবানের মতোই বরং বলা যায় লোফাহ আরো বেশি ব্যক্তিগত ব্যবহার্য একটি জিনিস, যা কোনভাবেই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা উচিৎ নয়। সাবানের চাইতেও লোফাহতে আরো বেশি মরা চামড়া, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু থাকে। যা অন্যের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন তৈরি করতে পারে।

জুতা ও স্যান্ডেল

মায়ের জুতা মেয়ে, বাবার জুতা ছেলে বা এক বন্ধুর জুতা অন্য বন্ধু পরবেই, এটা নিয়ে আপত্তি থাকার কোন অবকাশ নেই। কিন্তু আপত্তি করা প্রয়োজন উভয়ের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার খাতিরেই। পায়ের ত্বক, পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ও পায়ের নখে লুকায়িত ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাল ইনফেকশন খুব দ্রুতই ছড়িয়ে থাকে। মনে রাখতে চর্মরোগের সমস্যা একবার দেখা দিলে সহজে ভালো হতে চায় না।

চিরুনি

যে জিনিসটার প্রতি বাড়তি খবরদারি রাখা প্রয়োজন, সেটা নিয়েই আমাদের মধ্যে কোন মাথাব্যথা কাজ করে না। একজনের চিরুনি দশজন ব্যবহার করে অবলীলায়। যা মারাত্মক ক্ষতিকর অভ্যাস। মাথার ত্বক ও চুলে থাকা হাজারো জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, খুশকি, উকুন ও চর্মরোগ যার মাধ্যমে খুব দ্রুতই ছড়িয়ে যায়। এমনকি ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে এই অভ্যসের দরুন।

আরো পড়ুন: হৃদরোগের সম্ভবনা ৭০% পর্যন্ত কমবে যে অভ্যাসে

আরো পড়ুন: ত্যাগ করুন অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস

এ সম্পর্কিত আরও খবর