কোন বয়সে কতোক্ষণ ঘুমানো উচিত?

বিবিধ, লাইফস্টাইল

লাইফ স্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-08 13:16:29

দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রমের পর মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। এই বিশ্রামের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো ঘুম। দৈনন্দিন কর্মকান্ডের মাঝে বিশ্রাম নেওয়া গেলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঠিকমতো ঘুম না হলে এর প্রভাব পড়তে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।

ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীরে বাধতে পারে নানা ধরনের রোগ। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে রাতে ৬ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর চেয়ে কম ঘুম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দিনে ৬ ঘন্টার কম ঘুমানোর অভ্যাস দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এক সময় তা মানুষের আয়ুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রাত্যহিক পরিশ্রমের পর সঠিকভাবে ঘুমানো উচিত।

বয়স অনুপাতে কার কত ঘণ্টা ঘুমানো দরকার?

অধিকাংশ মানুষ জানেই না যে তার কতোক্ষণ ঘুমানো প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) বলছে, নবজাত শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমের সময়টা বেশি হওয়া জরুরি। সাধারণত তা দৈনিক ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। তারা তরুণ বা প্রাপ্তবয়স্কদের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের পরামর্শ দেন। স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শ অনুযায়ী-

• ৩ মাস পর্যন্ত নবজাতক শিশুদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমও যথেষ্ট হতে পারে। তবে ১৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো উচিত নয়।
• ৪ থেকে ১১ মাসের শিশুদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
• ১-২ বছর বয়সী শিশুদের ঘুমাতে হবে ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
• ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
• ৬-১৩ বছর বয়সীদের ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমের কথা বলা হয়েছে।
• ১৪-১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।
• প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণদের (১৮-২৫ বছর) ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
• ২৬-৬৪ বছর বয়সী প্রাপ্ত বয়স্কদের তরুণদের মতোই ঘুমানো উচিত।
• ৬৫ বা তার বেশি বছর বয়স্কদের ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম আদর্শ সময়। তবে ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমনো উচিত নয়।

এছাড়াও ঘুমের ক্ষেত্রে তারা নীচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করার জন্যও বলেছেন-

রুটিন মেনে ঘুমানো।
অ্যালকোহল বা উত্তেজক কিছু সেবন না করা। যেমন: কফি বা কোনো এনার্জি ড্রিংক্স।
ঘুমানোর সময় এলার্ম ঘড়ি বা দিনের আলো ঘুমকে যাতে বাধাগ্রস্থ করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা।
নিয়মিত ব্যায়াম করা।
বেডরুমের আদর্শ তাপমাত্রা, সাউন্ড ঠিক রাখা।
আরামদায়ক বিছানা ও বালিশ নির্ধারণ করা।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর