হিজাব ব্যবহারেও সুস্থ সুন্দর চুল

সৌন্দর্যচর্চা, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 16:38:10

নিয়মিত হিজাব ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।

ক্লাসে, অফিসে কিংবা ঘরের বাইরে দীর্ঘ সময় হিজাব পরে থাকার ফলে চুল তার প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস পায় না। এমনকি ঘেমে যাওয়ার ফলে চুলের ভেতরে ভেজা ভাব থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। যার প্রভাবে চুলের আগা দুর্বল হয়ে যায়, চুলে খুশকির মাত্রা বেড়ে যায় এবং চুল পড়ার হার বেড়ে যায় অনেক বেশি।

স্বাভাবিকভাবেই চুলে সঠিক যত্নের অভাব হলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে হিজাব ব্যবহারকারীদের চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন আরো খানিকটা বেশি। হিজাব ব্যবহারকারীদের সমস্যা ও তাদের চুলের যত্ন সম্পর্কে তুলে ধরা হলো কিছু প্রয়োজনীয় পয়েন্ট।

চুলের আগা ছাটা হবে নিয়মিত

অবশ্যই প্রতি দুই-তিন মাস অন্তর চুলের আগা ছেটে ফেলতে হবে। এতে করে চুল তার স্বাভাবিক আকৃতিতে থাকবে এবং চুলের আগা ফাটা সমস্যা রোধ হবে। সাধারণত চুলের আগা ফাটা সমস্যার জন্যেই চুলের বৃদ্ধি থেকে থাকে ও চুল পুষ্টি হারায়।

প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করতে হবে

প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন দিন চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। নিয়মিত হিজাব ব্যবহারের ফলে চুল অনেকটাই নিষ্প্রাণ হয়ে পরে। তেল ব্যবহারে ঘাটতি দেখা দিলে চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু করবে। নারিকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড অয়েল, কালিজিরা তেল, আর্গান অয়েল অথবা আমলকির তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজন নেই

যেহেতু চুল ভালোভাবে ঢাকা থাকছে হিজাব ব্যবহারের কারণে, তাই চুলে ময়লা তুলনামূলকভাবে  কম হবে। তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। হট অয়েল ম্যাসাজের পরের দিন হালকা ধাঁচের কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই হবে। শ্যাম্পু ব্যবহারের পর চুলের ধরণ বুঝে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

হট বাথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

অনেকেই হট বাথ নিতে পছন্দ করেন। কিন্তু যাদের হিজাব পরার অভ্যাস রয়েছে, হট বাথ থেকে তাদের কয়েক’শ হাত দূরে থাকতে হবে। হট বাথ নেওয়ার ফলে চুলের গোড়া অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়েবং মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণের মাত্রা কমে যায়। এতে করে চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশপাশি চুল ভেঙ্গে যাওয়া শুরু হয়।

নিয়মিত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার

হেয়ার ড্রায়ারই ব্যবহার করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আসল কথা বলো, ভেজা  চুলে কখনোই হিজাব পরা যাবে না। গোসলের পর সম্পূর্ণ মাথার চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে এরপর হিজাব পরতে হবে। যদি ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে যায় তবে খুবই ভালো কথা। যদি ফ্যানের বাতাস ও সময় যথেষ্ট না হয়, তবে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হবে।

চুল শক্ত করে বাঁধা যাবে না

হিজাব ব্যবহারের কারণে উল খুব শক্ত করে বেঁধে রাখেন অনেকেই। এই কাজটা একেবারেই করা যাবে না। এতে করে চুলের গোড়া দুর্বল হবার পাশোপাশি চুল পড়া বেড়ে যায়। হিজাবের নিচে চুল বাধতে হবে হালকা হাতখোপা করে। যেন মাথার ত্বকে ও চুলের গোরায় টান না পড়ে।

হিজাব/ স্কার্ফ পরিষ্কার থাকা বাঞ্ছনীয়

চুলের সকল যত্নই বিফলে যাবে যদি ব্যবহৃত স্কার্ফ, হিজাব কিংবা ওড়না নিয়মিত পরিষ্কার করা না হয়। যদি প্রতিদিন অফিস কিংবা ক্লাসের জন্য বের হতে হয়, তবে একদিন অন্তর ব্যবহৃত স্কার্ফ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আরো পড়ুন: জটবিহীন সুন্দর চুল!

আরো পড়ুন: রঙিন চুলের যত্নে ...

এ সম্পর্কিত আরও খবর