পানি পান করুন ঘুমানোর আগে

পরামর্শ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-09-01 21:12:26

শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতাকে সচল রাখতে পানির বিকল্প নেই! 

যে কারণে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। সারাদিনে মোট আট গ্লাস পানি পান করার কথা থাকলেও, হিসেব করলে দেখা যাবে কখনোই ঠিকভাবে আট গ্লাস পানি পান করা হয় না। এছাড়া রাতে ঘুমানোর পুরো সময়টাতে শরীর কোন পানি পায় না। ফলে সে সময়ের মাঝে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়।

তাইতো ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এতে করে ঘুমানোর পুরো সময়টাতে শরীরে পানির চাহিদা মেটার সঙ্গে বেশ কিছু উপকারিতাও পাওয়া যায়। জেনে নিন ঘুমানোর আগে পানি পানের কয়েকটি উপকারিতা।

দূরে রাখে মানসিক অবসাদ

২০১৪ সালের একটি গবেষণা সুপারিশ করে, ঘুমানোর আগে পানি পান না করলে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। যা থেকে দেখা দেয় মানসিক অবসাদ। এই অবসাদের সঙ্গে জুরে বসে দুশ্চিন্তা। মন প্রফুল্ল ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতেই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।

বৃদ্ধি পায় শরীরের কর্মক্ষমতা

রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পানে পেশি ও জয়েন্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় এনার্জির লেভেল। শুধু তাই নয়, শরীরে পানির অভাব মেটার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হরমোনের নিঃসরণ ঠিক মতো হয়। ফলে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে!

সুস্থ থাকে ত্বক

ঘুমানোর আগে পানি পানে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়, ফিরে আসে ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও কমতে শুরু করে।

দূর হয় ইনসমনিয়া

ঘুমানোর পূর্বে পানি পান করার ফলে হরমোনাল ইমব্যালেন্স দূর হয়। একই সঙ্গে কমে পেশির ক্লান্তিভাব। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর এবং মনে প্রশান্তিভাব কাজ করে। যে কারণে খুব সহজে ও অল্প সময়ের মাঝেই ঘুম চলে আসে। পানি পানের এই অভ্যাসের ফলে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।

শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়

ঘুমানোর আগে যে এক গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, পানিটি যদি কুসুম গরম হয় তবে তার জন্য রয়েছে এই উপকারিতাটি। কুসুম গরম পানি পানের ফলে শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে দেহের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে রক্তপ্রবাহ ও চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে শরীর ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর