দশ দেশের দশ ‘ঐতিহ্যবাহী’ খাবার

বিবিধ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-09-01 22:03:37

দেশ ভেদে ভিন্ন হয় খাবারের স্বাদ, রান্নার আয়োজন, জনপ্রিয় খাবারের ধরণ। প্রতিটি দেশেই রয়েছে নিজস্ব ধাঁচের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। কিছু দেশের এইসকল জনপ্রিয় খাবারের পদের জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপীও। আজকের আয়োজনে থাকলো দশটি দেশের দশটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় মুখরোচক খাবারের নাম।

অস্ট্রিয়া: উইনার শিনেটজল

ঐতিহ্যগতভাবে এই খাবারটি তৈরি করা হয় বাছুরের মাংসের খুব পাতলা স্লাইস ডুবো তেলে ভেজে। পরিবেশন করা হয় লেবুর রস ও পার্সলের কুঁচি ছিটিয়ে। সঙ্গে থাকে আলু অথবা ভাত।

আর্জেনটিনা: আসাদো

দেশটির প্রায় সকল খাবারেই মাংসের প্রাধান্য থাকে। যে কারণে আর্জেনটিনার জাতীয় পদ হলো আসাদো। পারিবারিক আয়োজনে গ্রিল করা মাংসের এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। যে কারণে একেবারে স্বল্প মূল্য থেকে সর্বোচ্চ মূল্যেও পাওয়া যায় এই খাবারটি।

চীন: পেকিং ডাক

চীনে হাঁসের মাংসের এই রান্নাটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও দামী একটি খাবার। হাঁসের মাংস মালটোজ সিরাপ দিয়ে বাদামী করে ভাজা হয়। রান্নার প্রক্রিয়াটি শেষ হয় চিনি-রসুনের সসে ডুবিয়ে। হাঁসের মাংস তথা পেকিং ডাক পরিবেশন করা হয় সুইট বিন সস, স্প্রিং অনিয়ন ও চায়নিজ প্যানকেকের সঙ্গে।

ফ্রান্স: ক্রেপ

ফ্রান্সের ভীষণ জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো এই ক্রেপ। এই খাবারটি মিষ্টি ও ঝাল দুইভাবেই তৈরি করা যায়। ময়দায় তৈরি এই খাবারটি নিউটেলা, জেলী, পনীর অথবা মাশরুমের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়। কথিত আছে, উনিশ শতকে এক যুবরাজের জন্য ১৪ বছর বয়সী একজন রাঁধুনির রান্নার ভুল থেকে তৈরি হয় এই ক্রেপ।

ইতালি: পিৎজা

পিৎজা ও ইতালি, শব্দ দুইটি যেন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূলত পিৎজার উৎপত্তি হয়েছে ইতালির দক্ষিণস্থ শহর নেপলস (Naples) থেকে। টমেটো সস, পনীর ও মাংসের সমন্বয়ে তৈরি এই খাবারটি এখন পুরো বিশ্ব জুড়ে এখন তুমুল জনপ্রিয়।

মালয়েশিয়া: নাসি লেমাক

মালয়েশিয়ার  রাজধানি কুয়ালালামপুরে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের লোভনীয় খাবারের সন্ধান। নানান ধরণের বিশেষ ও মজাদার খাবারের ভেতর থেকে যেকোন একটি বিশেষ খাবার বেছে নেওয়া কষ্টসাধ্য বটে! তবে অন্যান্য সকল খাবারের মাঝে নাসি লেমাক হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ। কলা পাতায় মোড়ানো নারিকেলের দুধে রাঁধা ভাতের সঙ্গে মরিচ, বাদাম ও সিদ্ধ ডিম। ঐতিহ্যগতভাবে মালয়েশিয়ায় এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়।

মেক্সিকো: মোল সস

যদি ভাবেন সামান্য সস কীভাবে একটি দেশের বিশেষ খাবার হতে পারে, তবে জেনে রাখুন প্রায় একশটির বেশি খাবারে ব্যবহার করা হয় এই বিশেষ সসটি। এর মাঝে টাকোসও আছে। চকলেট ও বিভিন্ন ধরণের মশলায় তৈরি এই সসটি পুরো দেশ জুড়েই দারুণ জনপ্রিয়।

ইউএসএ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র):

একেবারে পুরনো ধাঁচের ফ্রেন্স ফ্রাইস ও কেচাপের সঙ্গে হ্যামবার্গার এর কম্বিনেশনকেই বলা যেতে পারে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। বার্গারপ্রেমীদের জন্য বার্গারের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বলা হয় দেশটিকে।

জাপান: র‍্যামেন

অসংখ্য ফ্লেভারের র‍্যামেনে সমৃদ্ধ জাপানের দারুণ ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি। মাছ কিংবা মাংসের স্টক/ ব্রোথের সঙ্গে নুডলস, সয়া সস, কয়েক টুকরো শূকরের মাংস, শুকনো সিউইড ও পেঁয়াজের মিশেলে পরিবেশন করা এই খাবারটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে অন্যান্য দেশেও।

মরক্কো: টেজান

চমৎকার রঙিন এই খাবারটি দেখলে নিশ্চিতভাবেই যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে। বিভিন্ন ধরণের মশলা, অলিভ, লেবু, সবজী ও চিকেনের সমন্বয়ে তৈরি খাবারটি পরিবেশন করা হয় ডালিম দিয়ে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর