বছর শেষে সঞ্চয় বাড়াবে যে নিয়মগুলো

পরামর্শ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 07:09:19

চলতি বছর শেষ হতে তিন মাসও বাকি নেই।

নতুন বছরের শুরুটা কীভাবে হবে বা কী করবেন নতুন বছরে, সেটার পরিকল্পনা হয়তো করা হয়নি কারোরই। কিন্তু এই পুরো একটা বছর জুড়ে নিজের জন্য ও আগত বছরের জন্য সঞ্চয় করে রাখা খুবই প্রয়োজন।

বছরের বেশিরভাগ সময় কেটে গেলেও, এখন থেকে সঞ্চয় করা শুরু করলেও হাতে জমে যাবে বেশ অনেকটা সঞ্চয়। তবে তার জন্য মানতে হবে ছোটখাটো বেশ কয়েকটি নিয়ম। নিজের প্রয়োজনেই জেনে রাখুন অপচয় কমিয়ে কীভাবে মাত্র আড়াই মাসের ভেতর সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে পারবেন ও নতুন করে সঞ্চয় করতে পারবেন।

সুপার শপ এড়িয়ে যাওয়া

এক ছাদের নিচে প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া গেলে কষ্ট করে কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানে কি কেউ যেতে চায়! কিন্তু সাময়িক এই সুবিধার জন্য খরচ হয়ে যায় বেশ কিছু বাড়তি টাকা। যেকোন পণ্য মুদি দোকানের চেয়ে কয়েক টাকা বেশি দামে কিনতে হয় সুপার শপ থেকে। সাথে গুণতে হয় ভ্যাট। হিসেব করলে বেশ অনেকগুলো টাকা বাড়তি খরচ হয়ে যায় সুপার শপে কেনাকাটা করতে গেলে। যে কারণে সুপার শপে কেনাকাটা করার অভ্যাস থাকলেও, এই কয়দিন সাধারণ বাজার ও মুদি দোকান থেকেই কেনাকাটা করার অভ্যাসটা করে ফেলুন।  

প্যাকেটজাত সবজী ও ফল

সুপার শপগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজী কেটেবেছে প্যাকেট করে রাখা হয়। সময় বাঁচানোর জন্য অনেকেই সেই সকল প্যাকেটজাত সবজী ও ফল কিনে থাকেন। এতে সময় কিছুটা বাঁচলেও, খরচ হয় অনেকটা বেশি। যে কারণে, কেজি হিসেবে ফল কিংবা সবজী কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

হুটহাট কেনাকাটা করা

হাতে কিছু বাড়তি টাকা আসলে কিংবা মন ভালো না থাকলেই কেনাকাটা করার অভ্যাস কমবেশি সবার মাঝেই আছে। এমন ইম্পালসিভ শপিং বা হুটহাট কেনাকাটায় প্রয়োজনীয় কোন জিনিস কখনোই কেনা হয় না। এমন হুটহাট কেনাকাটা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ও অহেতুক জিনিস কিনে টাকা নষ্ট করলে প্রয়োজনের সময় সমস্যায় পড়তে হবে।

ফুলচার্জড ইলেকট্রনিক পণ্যে চার্জ দেওয়া

মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক কিংবা অন্যান্য যেকোন ইলেকট্রনিক পণ্য ফুল চার্জ হবার পরেও চার্জে দিয়ে রাখার অভ্যাস নিশ্চয় আপনারও আছে! এই অভ্যাসের ফলেই কিন্তু আপনাকে গুণতে হচ্ছে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল! ইলেকট্রনিক পণ্য পুরোপুরি চার্জড হয়ে যাওয়ার পর অবশ্যই মনে করে চার্জার খুলে নিতে হবে। নইলে বিদ্যুতের মিটারে বিল যোগ হতেই থাকবে।

খাবার নষ্ট করা

খেতে না পারলেও প্লেটে অতিরিক্ত খাবার নেওয়ার ফলে প্রতিবেলায় খাবার নষ্ট করার অভ্যাস থাকলে, আজকে থেকেই সংযত হতে হবে। খাবার নষ্ট করার অভ্যাসের ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার রান্না করা হয়। এতে খরচটাও হয় বেশি। মেপে খাবার রান্না করলে ও খাবার নষ্ট না করলে খাওয়ার খরচটা কমে যায় অনেকখানি।

বাইরে খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া

সময় কম, বাইরের খাবার খেতে পছন্দ কিংবা ঝামেলা এড়ানোর জন্য বাইরে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। এতে করে খাওয়ার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি গুনতে হয়। ঘরেই তৈরি করার চেষ্টা করুন সহজ কোন খাবার। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, সঞ্চয়ের জন্যে এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর