নাস্তায় এই খাবারগুলো ওজন কমাতে সহায়ক

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-09-01 06:20:50

ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও বাড়তি ওজন কমানো সহজ কোন বিষয় নয় মোটেও।

হাজারো নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণের ঘোরপ্যাঁচে অতিষ্ট হয়ে উঠতে হয়। কিন্তু সহজ কিছু টিপস ও ট্রিক্স জানা থাকলে বেশ সহজ হয়ে যায় এই কাজটি। তেমনি একটি সহজ টিপস হলো সকালের নাস্তায় সঠিক খাবার খাওয়া।

পুরো দিনের ভেতর সকালের নাস্তায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সবচেয়ে জরুরি। সেই পুষ্টিকর খাবারগুলোর ভেতর কয়েকটি খাদ্য উপাদান সাহায্য করবে ওজন কমাতে। এই সকল খাবার প্রতিদিনের নাস্তায় রাখতে পারলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

জেনে রাখুন কোন খাবারগুলো সকালের নাস্তায় রাখলে পাবেন এমন চমৎকার উপকারিতা।

ডিম

ডিম খেতে পছন্দ করে সবাই। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় ডিম থাকা যেন বাধ্যতামূলক। ভীষণ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণাগুণ সমৃদ্ধ এই খাবারটি দিনের ভেতর যেকোন সময়েই খাওয়া যাবে। তবে সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার ফলে দিনের শুরুতেই শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি ডিম থেকে নিয়ে নিতে পারে। যে কারণে হুটহাট খিদাভাব দেখা দেয় না। এছাটা ডিমের উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পেট ভরাভাব তৈরি করে। মূলত এই সকল কারণেই প্রতিদিনের নাস্তায় একটি ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে।

দই

দুগ্ধজাত খাদ্যের ভেতর দই হলো সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত। এমনকি যাদের দুধ পানে ও দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা রয়েছে, তারাও নিশ্চিন্তে দই খেতে পারবেন। দই মূলত পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন হাড় ও দাঁত ভালো রাখে। ওজন কমাতে দইয়ের ভূমিকা সবসময়ই লক্ষণীয়।

মিষ্টি আলু

এই তালিকার ভেতর মিষ্টি আলুর নাম দেখে অবাক হবেন অনেকেই। তবে ওজন কমাতে মিষ্টি আলু বেশ কার্যকরি। কারণ প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানে আছে উচ্চমাত্রার দ্রবণীয় আঁশ। এই আঁশই মূলত সাহায্য করে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে। আঁশ, লো ক্যালোরি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিযুক্ত মিষ্টি আলু সকালের নাস্তায় খেলে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত।

ব্রকলি

উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত সবজীর ভেতর ব্রকলি একদম প্রথম সারিতে থাকবে। এতে আঁশের পাশাপাশি আছে প্রোটিন ও স্বল্প মাত্রার ফ্যাট। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফুলকপি ও এই গোত্রের সবজী দারুন উপকারি। এছাড়া ব্রকলিতে আরও পাওয়া যায় ক্যান্সার প্রতিষেধক উপাদান ‘সালফরাফেন’। যা এই সবজী গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা।

কাজু বাদাম

প্রতিদিনের নাস্তায় ৬-৭ টি কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। মাত্র ১০০ গ্রাম কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে ৪৯ গ্রাম ফ্যাট। ২১ গ্রাম প্রোটিন ও ১২ গ্রাম আঁশ পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কাজু বাদাম মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন বেশ দ্রুত কমে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর