মিষ্টিকুমড়া বীজের পাঁচ চমকপ্রদ গুণ

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 21:56:46

শুধু মিষ্টিকুমড়া নয়, মিষ্টিকুমড়ার বীজও সবজীটির মতোই দারুন সব উপকারিতা বহন করে।

গ্রামাঞ্চলের দিকে বিকালের নাস্তা হিসেবে মিষ্টিকুমড়ার বীজ ভাজা বেশ জনপ্রিয়। শহুরে এলাকার বেশিরভাগ মানুষই এই খাদ্য উপাদানটির ব্যবহারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।

যে কারনে উপকারি এই খাবারটি খাওয়ার প্রচলন তেমনটা দেখাও যায় না। এক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্য করার জন্য আজকের ফিচারে আলোচনা করা হলো মিষ্টিকুমড়ার বীজের চমৎকার পাঁচটি উপকারিতা। 

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের কোষকে ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ ও প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করে। যেহেতু শারীরিক বহু সমস্যা তৈরি হয় প্রদাহ থেকে, মিষ্টিকুমড়ার বীজ এক্ষেত্রে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ আরো আছে ভিটামিন-ই, ফেনোলিক উপাদান ও জিংক।

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে

মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড- ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬, যা আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে মজার বিষয় হলো, এই এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর নিজ থেকে উৎপন্ন করতে পারে না। যে কারণে খাদ্য উপাদান থেকে প্রয়োজন মাফিক ফ্যাটি অ্যাসিড না পেলে শরীর ও ত্বকের উপর প্রভাব পরে ও চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যায়। মিষ্টিকুমড়ার বীজ গ্রহণে ত্বকের বয়সের ছাপ সহজে দেখা দেয় না।

চুল পড়া কমায়

এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ৪০০ মিলিগ্রাম মিষ্টিকুমড়া বীজের তেলের ক্যাপসুল নিয়মিত গ্রহণে টাকের সমস্যায় ভোগা ৭৬ জন পুরুষের ৬ মাস পর চুলের বৃদ্ধি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘুমের সমস্যা দূর করে

আপনি কি ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন অথবা আপনার ঘুম কি অনিয়মিত? তবে আজ থেকেই মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়া শুরু করুন। কেন মিষ্টিকুমড়ার বীজ? কারণ এতে আছে ট্রিপটোফেন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম- এই তিনটি চমৎকার উপাদান। যা দ্রুত ঘুম আনতে, ঘুমের সময়ের ব্যাঘাত প্রতিরোধ করতে ও অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস দূর করতে কাজ করে।

অন্ত্র সুস্থ রাখে ও কৃমির সমস্যা দূর করে

ছোট শিশুদের মাঝে কৃমির প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে বিরক্তিকর ও বিব্রতকর এই সমস্যাটি হতে পারে যে কারোরই। কৃমির সমস্যায় মিষ্টিকুমড়ার বীজ ওষুধের মতো কার্যকরি। কি রয়েছে এই মিষ্টিকুমড়ার বীজে? এতে আছে কাকারবিটিন (Cucurbitine), ফ্যাটি অ্যাসিড, বারবারিন এবং প্যালমাটিন। এই উপাদান সমূহ পাকস্থলীতে কৃমির ডিম ভাঙার প্রক্রিয়া ও কৃমির বংশ বৃদ্ধির উপর প্রভাব বিস্তার করে। ফলে পাকস্থলিস্থ কৃমির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না এবং ধীরে ধীরে মারা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর