কাঠগড়ায় হাতকড়া পরিহিত সম্রাট

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 01:26:15

সম্রাটকে আদালতে আনা হচ্ছে এমন সংবাদে সহস্রাধিক যুবলীগ নেতাকর্মী ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে জড়ো হন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ সম্রাটকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আদালতের হাজতখানা থেকে সম্রাটকে হাতকড়া পরিয়ে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা ‘সম্রাট’, ‘শেখ হাসিনা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

আদালতে শুনানির শুরুতেই সম্রাটের আইনজীবীরা বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সম্রাটকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সম্রাট তো আদালতের কাস্টডিতে আছেন। এ সময় তাকে হাতকড়া পরানোর কি দরকার? আমরা তার হাতকড়া খুলে দেওয়ার প্রার্থনা করছি।’ তবে আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলাকালে তিনি ঢাকা থেকে কুমিল্লা পালিয়ে যান। ৬ অক্টোবর তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে ঢাকায় অভিযান চালালে তার বেডরুম থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া দরকার।’

আসামিপক্ষে বেলায়েত হোসেন, আক্তার হোসেন ভূইয়া, আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন। শুনানিতে তারা বলেন, ‘প্রথমে সম্রাট যুবলীগের রমনা থানার আহ্বায়ক ছিলেন। এরপর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরে দক্ষিণের সভাপতি হন। নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। কুচক্রী মহল মিথ্যা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’

তারা বলেন, ‘সম্রাট যদি পালাতে চাইতেন, তাহলে যে কোনো মুহূর্তে পালাতে পারতেন। দলকে, নেতাকর্মীদের তিনি ভালোবাসেন। দলেও তিনি জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
arrest

সম্রাট অসুস্থ উল্লেখ করে আইনজীবীরা বলেন, ‘তার ওপেন হার্ট সার্জাসি করা হয়েছে। তিনি ভাল্বে সমস্যাসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। এ অবস্থায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না। বেঁচে থাকলে বিচার হবে। তিনি মারা গেলে কার বিচার করবেন?’ তাকে বাঁচার সুযোগ দিতে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের চান তারা।

শুনানি শেষে বিচারক সারাফুজ্জামান আনছারী মাদক মামলায় পাঁচ দিন ও অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থায়ই ফের আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তাকে আদালত থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা সম্রাটের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর