প্রসূতির মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 00:20:41

ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অবহেলার কারণে কেন তিন বিবাদীকে দায়ী করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদলত।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের অতিথি চিকিৎসক ডা. দিলরুবা জেবা ও ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনস্বার্থে করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও ব্যারিস্টার এম মইনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

আদেশের পর আইনজীবী এম মইনুল ইসলাম জানান, অন্তত তিনজন গাইনোকোলজি ও অবস বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক আহমেদ জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিট আবেদনে একটি দৈনিক পত্রিকায় গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করেন তিনি।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক প্রসূতি খায়রুন্নাহার তানি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যাশিশুর জন্ম দেন। এরপর ৩১ আগস্ট শনিবার সকাল ৭টায় হাসপাতালে মারা যান তানি। তানির স্বামী হাইকোর্টের আইনজীবী সফওয়ান করিম অভিযোগ করেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক দিলরুবা জেবা নির্ধারিত সময়ের আগেই রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার অভিযোগ, অসুস্থ হওয়ার পর শিশু হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি।

ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দীন ফরিদ জানান, ডা. জেবা শিশু হাসপাতালে অতিথি চিকিৎসক হিসেবে সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকেন। আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ প্রসূতির চিকিৎসা সেবায় গাফিলতি করেনি।

আর ডা. দিলরুবা জেবা বলেন, ‘রোগী যথেষ্ট জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পূর্ব নির্ধারিত সময়েই অপারেশন করে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছি আমরা। তার প্রেসার বেশি ছিল এবং তিনি প্রি-একলামশিয়ায় ভুগছিলেন। হার্ট ফেইলিওর বা ব্রেন হেমারেজে তার মৃত্যু হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর