নড়াইলের বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিলেন হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 15:41:18

হত্যা মামলার প্রধান আসামির নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করায় নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবদুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। এক বছর তিনি ফৌজদারি মামলায় বিচার কাজ করতে পারবেন না।

সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই বিচারক শেখ আবদুল আহাদ হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন। ওইদিন তিনি স্বীকার করেন, তার আদেশে ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল হবে না জানিয়ে রুলের লিখিত জবাবে তিনি এ ক্ষমা চান।

আদালতে বিচারকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। সংশ্লিষ্ট মামলার বাদী নাজমুল হুদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলীম।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পাইপগান দিয়ে এনামুল নামে এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন মল্লিক মাজহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল হুদা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নড়াইলের কালিয়া থানায়।

চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাজহারুল ইসলাম ওরফে মাঝার নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন। বিচারিক আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহত এনামুলের ভাই নাজমুল হুদা। এ আবেদনের শুনানিতে বিচারকের ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কারণ ব্যখ্যা করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি মাঝাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

নির্দেশনা মোতাবেক আসামি মাঝা আত্মসমর্পণ করলে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ তাকে জামিন দেন। এ ঘটনায় হাইকোর্ট এ জামিন কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে ২০ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত বিচারককে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর