আইন প্রণয়নের আট মাসেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন না করায় এবং এ-সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য জেলা জজ বা দায়রা জজকে দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, আইন হওয়ার পর এতদিনেও গেজেট প্রকাশ না করায় প্রশ্ন উঠতে পারে, মাদকের গডফাদারদের সঙ্গে সরকারের একটা মহলের সংযোগ রয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট)মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এক আসামির জামিন শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বংশাল থানায় করা এক মামলায় মাসুদুল হক মাসুদ নামের এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনের ওই বিধানের বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নতুন ওই আইনে মাসুদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মামলাটি করে পুলিশ।
আদালতে জামিন আবেদনকারী মাসুদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আল ফয়সাল সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ সময় আদালত বলেন, এক শিশু আইন সংশোধন করতে লেগেছে ২ থেকে আড়াই বছর। তারপরও আমরা আশায় রইলাম। আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মূলতবি রাখলাম। আশা করছি ১৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে একটা ভালো খবর দেবেন।
দীর্ঘ দিনেও গেজেট না হওয়ায় একই বেঞ্চ গত ৮ জুলাই স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইনসচিবকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিল করে গত বছর ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ শিরোনামে নতুন আইন করে সরকার। আইনটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এই আইনের ৪৪ ধারায় এ-সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে যেকোনো জেলা জজ বা দায়রা জজকে তাঁর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব দিতে পারবেন বলা আছে।