ওয়াসার পানি সংশোধনে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছেন হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-27 18:29:30

ওয়াসার দুটি জোনের পানি সংশোধনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত চেয়েছেন হাইকোর্ট। ওয়াসার দাবি, এ দুটি জোনে আর ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়ার পর আদেশ দেবেন আদালত।

এ দুই জোনের পানি সংশোধন করে বুয়েট ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিসিডিআরবি) প্রতিবেদন দাখিলের পর মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'ওই দুই জোনের পানি সংশোধন করা হয়েছে।'

আদালতে ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

আদেশের পরে আইনজীবী এ এম মাসুম বলেন, 'পাতলা খান ও মিরপুর জোনের যেখানে ক্লোরিন থাকবে সেখানে ব্যাকটেরিয়া থাকবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে এক সঙ্গে দুইটা থাকার সুযোগ নেই। এ কারণে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছেন আদালত।'

তানভীর আহমেদ বলেন, 'আজকে ওয়াসা যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটাতে দেখা যায় যে, ওয়াসার পানিকে সুপেয় বলা হচ্ছে।'

গত ৭ জুলাই পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২৪ জুন এ এম মাসুম বলেন, ' সমন্বিত প্রতিবেদনে মিরপুর ও পাতলা খান লেনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলে ফেকেল ও ই-কোলাই। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান সংশোধনে গিয়েছি।'

গত ৩ জুলাই ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে ব্যাকটেরিয়া, অ্যামোনিয়া ও মলের তথ্য জমা দেয়া হয় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে।

এর আগে গত ২১ জুন এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট ।

এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষাতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া ও নমুনাতে মলের অস্তিত্বের সন্ধান মেলে।

গতবছর ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাবি এবং আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন- আইসিডিডিআরবি'র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এমবদরুজ্জামান ও ঢাবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর