স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহের বিধান বাতিল চেয়ে নোটিশ

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 21:58:23

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বিধান বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে এটি বাতিল না করলে উচ্চ আদালতে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নোটিশে।

রোববার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেনের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার তৌফিুকুর রহমান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ পাঁচজনের বরাবরে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ প্রেরণকারী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। নিজ সংসদীয় এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।

নোটিশে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বর্ণিত আছে। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এর ১২(২)(৩এ)(এ) ধারায় উল্লেখিত ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বিধান স্বতন্ত্র প্রার্থীতার ক্ষেত্রে বড় বাধা। এটি সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। আরপিওর ১২(২)(৩এ)(এ) ধারার হস্তক্ষেপে জনগণের অধিকার খর্ব হচ্ছে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এ ধরনের বিধান নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বিধানটির প্রয়োগ হয় না।

নোটিশে আরো বলা হয়, এক-এগারোর সেনা নিয়ন্ত্রিত অগণতান্ত্রিক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল আরপিওতে। উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। ভোটাররা গোপন কক্ষে ভোট দেন। এতে প্রতিনিধি নির্বাচনে তাদের সুরক্ষার পাশাপাশি গোপনীয়তা বজায় থাকে। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটার যখন স্বাক্ষর করেন এতে তাদের গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। যা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে এটি ভোট কেনার সুযোগ করে দেয় যা দুর্নীতিতে প্ররোচিত করতে পারে। এ বিধানের কারণে রাজনৈতিক দলগুলো স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। এতে মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয় বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর