মামলা থেকে বাঁচতে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করতে ডিআইজি মিজানকে জেলগেটে দুদককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে থাকা মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করেন মামলাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
দুদকের পক্ষে আবেদনের উপর শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ অনুমতি প্রদান করেন।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পর ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ তদন্ত শুরু করেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির। কিন্তু তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন বাসির।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, মামলা থেকে বাঁচাতে বাসির তার কাছে থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রমাণ স্বরূপ বাসিরের সাথে তার কথোপকথন ফাঁস করে দেন। তবে এনামুল বাসির তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত ২৪ জুন তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনা রত্না, ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে আসামি করে মামলা করে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
গত ১ জুলাই আত্মগোপনে থাকা এ পুলিশ কর্মকর্তা হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। ২ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।