ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার না হলে হাইকোর্টে রিট: ব্যারিস্টার সুমন

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 21:58:35

ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে গ্রেফতার বা আইনের আওতায় না আনা হলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন এ কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার বাদী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, 'ওসি মোয়াজ্জেমের খুঁটির জোর কোথায়? মন্ত্রী মহোদয় বলার পরেও তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় বা তিনি আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে আগামী ১৬ জুন হাইকোর্টে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে না তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হবে।’

তিনি বলেন, 'এর আগে গত ২৭ মে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। নুসরাতের পরিবারসহ সারাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে কখন পলাতক মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেফতার হবেন বা আইনের আওতায় আসবেন। আমরা ভেবেছিলাম, আজকে তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে আসবেন। কিন্তু তার মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠেনি। মনে হচ্ছে এর মাধ্যমে তিনি সময়ক্ষেপণ করে আমাদের সঙ্গে এবং জাতির সঙ্গে ইঁদুর বিড়াল খেলছেন।’

আরও পড়ুন: ওসি মোয়াজ্জেম কি দেশ ছেড়েছেন?

তিনি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহে হাইকোর্টের আর মাত্র দুইদিন অবকাশকালীন বেঞ্চ বসবে। আগামী ১৬ জুন রোববার থেকে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ বসবে। তাই এ সময়ের মধ্যে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার না করা হলে আমি বাদী হয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবেনা তা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করব।'

শঙ্কা প্রকাশ করে মামলার এই বাদী আরও বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম পুরোপুরি না, সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন। আর কতটা সময় নিলে মনে হবে পুলিশ প্রশাসন তাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়নি? আমি জানি, পুলিশ প্রশাসন চাইলে এমন কোনো কাজ নেই যে তারা করতে পারেননা। ভুরিভুরি উদাহরণ আছে যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও তারা আসামি ধরেছেন। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৬ জন আসামিকে তারা বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ধরে এনেছেন। পিবিআই একমাস তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং এই প্রতিবেদন পুলিশের হাতে ছিল। ওই প্রতিবেদনে তিনি (মোয়াজ্জেম) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এ পর্যায়েও কেন তারা (পুলিশ) তাকে (মোয়াজ্জেম) চোখে চোখে রাখতে পারলেন না? ওসি মোয়াজ্জেমকে ধরতে যত দেরি হচ্ছে ততোই মানুষের মধ্যে বিশ্বাস প্রবল হচ্ছে যে, তারা (পুলিশ) ওসি মোয়াজ্জেমকে ধরতে চাচ্ছেন কিনা?

আরও পড়ুন: ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে মাঝরাতে অভিযানে পুলিশ

উল্লেখ্য, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অশালীন প্রশ্ন করে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন। ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর