ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চার্জশিট গৃহীত

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 18:50:47

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ না থাকায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ সময় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। হাসনা হেনাকে অব্যাহতির বিষয়ে তার কোন আপত্তি ছিল না।

গত ২৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। চার্জশিটে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন।

চার্জশিটে বলা হয়, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী। অরিত্রীকে পরদিন তার মা-বাবাসহ স্কুলে আসতে বলেন। সেদিন তারা শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার কাছে আসলে তিনি তাকে শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। তিনি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে তাদের নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসের কাছে নিয়ে গেলে অরিত্রী তার পা ধরে ক্ষমা চান। অরিত্রীর মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে ক্ষমা করে দিতে বলেন। কিন্তু তারা ক্ষমা না করে বরং অসম্মান করেন। পরদিন মেয়ের ছাড়পত্র নিয়ে যেতে বলেন।

অপমানিত হয়ে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে তার কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়েছিল। হাসনা হেনা গত বছরের ১০ ডিসেম্বর জামিন পান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর