তারেকের বন্ধু মামুনের অর্থপাচার মামলার রায় বুধবার

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 10:08:47

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং মামলার রায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘোষণা করা হবে।

গত ৮ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

ওইদিন রাষ্ট্র ও দুদকের পক্ষে শুনানি করেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, খুরশীদ আলম কান, মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। মামুনের পক্ষে শুনানি করেন, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, জাহেদুল ইসলাম কোয়েল ও হেলাল উদ্দিন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন সিঙ্গাপুরের ব্যাংকের মাধ্যমে অন্য একটি অর্থপাচার মামলায় ইতোমধ্যেই ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ মামলায়ও ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে আদালতের আদেশে মামুনের লন্ডনের নেটওয়েস্ট ব্যাংকের ২টি হিসাবে থাকা ৬ কোটির টাকা জব্দ রয়েছে।

২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।

মামলায় বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগনালিং আধুনিকীকরণের কাজ পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। না হলে কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। পরে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে মামুন তার কাছ থেকে আদায় করা ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকার কমিশন কয়েক দফায় বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের নেটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন। নেটওয়েস্ট ব্যাংকের এলডুইচ দুইটি হিসাবে মামুনের ওই টাকা (২ লাখ ৪ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৬৯ পাউন্ড স্টারলিং) জমা থাকা অবস্থায় হিসাব দু’টি জব্দ আছে।

ঘটনাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৯ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন মামুন। এরপর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর