বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে স্বাধীনতা পরিষদ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ কারণ দর্শানোর নোটিশটি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে দেয়া হয়।
কেন সদস্য পদ বাতিল করা হবে না, তা ৪ মার্চ বিজিএমইএতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে এই নোটিশে।
সোমবার (৪ মার্চ) এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মোঃ খাইরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন।
আদালত স্থগিতাদেশের পাশাপাশি হয়রানি বিষয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীর আলমের করা আবেদন ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাঁকন এবং শুভ্রজীৎ ব্যানার্জি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদালতের আদেশের পর সাবেক রিটকারীর আইনজীবী আলতাফ হোসেন বার্তা২৪.কম-কে জানান, মূলত হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই বিজিএমইএর সভাপতি এই নোটিশটি দিয়েছেন।
বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও কোন বাধা নেই বলে জানান এই আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের ২০১৯-২১ বছরের নির্বাচনে ৩৫ টি পদের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৬ এপ্রিল।