নোয়াখালীতে যৌতুকের মামলায় বিজিবি সদস্যের কারাদণ্ড

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2023-09-01 01:49:22

নোয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল সুলতান (৩২) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লেন্স নায়েক হিসেবে পিলখানায় কর্মরত রয়েছেন। সোমবার রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে আসমির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের স্টেনোগ্রাফার নজরুল ইসলাম রায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে বেকুসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- সোহেল সুলতানের মা মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন, বোন শিউলী আক্তার ও ফুফু হাসনা বেগম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর শূল্লাকিয়া গ্রামের সফিক উল্যাহর ছেলে বিজিবি সদস্য সোহেল সুলতান ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল একই উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আবদুল সাত্তারের মেয়ে শিরিন আক্তার মুন্নিকে বিয়ে করেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই সোহেল তার স্ত্রীকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই বেদম মারধর করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্ত্রীকে।

এরপর নির্যাতনে শিকার শিরিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী সোহেল সুলতানসহ চারজনকে আসমি করে একটি পিটিশন মামলা (নম্বর-১০২৮/২০১৬) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তৎকালীন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলাল হোসেন পিটিশন মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এরপর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আসামি সোহেল সুলতানকেকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর তিন আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর