সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সরোয়ার আলমের আদালতে মিলনকে হাজির করা হয়। ওই সময় তার ১৪ মামলায় জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা।
আদালত মিলন ও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বাকিগুলোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন জানিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর মিলনকে নেয়া হয় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজমের আদালতে। সেখানে দু’টি মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। তবে আদালত সেসব মামলায়ও জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে মিলন এসব মামলার মধ্যে ৭টিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল থেকে তিনি মামলাগুলোতে হাজির না হওয়ায় তাকে নতুন করে ওইসব মামলায়ও জামিন চাইতে হচ্ছে। প্রায় তিন বছর আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এবং এর পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় এসব মামলায়ও তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) মিলনকে চট্টগ্রামের চকবাজার থানার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। গ্রেফতারের পরপর মিলনকে কোর্টে হাজির করে তিনটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রোববার তার অনুপস্থিতিতে তিনটি মামলার জামিনের শুনানি করতে গেলে আদালত তাকে কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মিলনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টিতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। মামলাগুলোর মধ্যে একটি খুনের। বাকিগুলো চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত।
বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর এসব মামলা দায়ের করা হয়। মিলন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে চাঁদপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এরপর মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। চলতি নভেম্বর মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেন।