হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 14:33:17

বহুমাত্রিক লেখক-অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আদালত আগামী ১৩ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন।

রোববার (২৭ মার্চ) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীনের আদালত রায়ের জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ৪ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামিপক্ষ বলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তারা খালাস পাবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ।

এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায়, মুখে ও ঘাড়ের উপর মারাত্মক জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নুর মোহাম্মাদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার ওরফে ভাগ্নে শহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ।

সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে হুমায়ুন আজাদের ভাই ও এই মামলার বাদী মো. মঞ্জুর কবির ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর মামলাটির বর্ধিত তদন্তের আবেদন করলে ২০ অক্টোবর আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হামলার শিকার হওয়ার পর ২২ দিন সিএমএইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট জার্মানি যান তিনি। ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট ড. হুমায়ুন আজাদ জার্মানির মিউনিখে মারা যান।

বিভিন্ন সময় মামলাটি তদন্ত করেছেন রমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, সিআইডির পুলিশ ইন্সপেক্টর কাজী আব্দুল মালেক, মোস্তাফিজুর রহমান ও লুৎফর রহমান।

২০১০ সালের ১৮ অক্টোবর আসামি আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর