কাশ্মীর খুলে দেওয়ায় খুশি বাঙালিরা

, কলকাতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কলকাতা | 2023-08-30 02:13:45

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়ে অনেকেই আতঙ্কে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে থমকে গিয়েছিল কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প। পরবর্তীকালে খানিকটা স্বাভাবিক হলেও, ফের বাধা পড়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে।

৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হিসেবে ঘোষণার কারণে পর্যটকদের কাশ্মীরে ঢোকায় নিষেধ ছিলো। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হয়েছে জম্বু ও কাশ্মীর। বিষয়টি নিয়ে যেমন আশাবাদী কাশ্মীরের জনগণ, তেমনই ফের আশায় বুক বাঁধছে কলকাতার ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলিও।

এ বছরের ২ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে পর্যটকদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর থেকেই কলকাতার বাঙালির মন খারাপ। কারণ গোটা বছরে পূজার ছুটিতে সবচেয়ে বেশি কাশ্মীর যান বাঙালিরা। তাতে পড়েছিল বাধা। পাশাপাশি পূজাকেই সামনে রেখে কাশ্মীর প্যাকেজ বানায় ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞায় কাশ্মীরকে বাদ রেখেই পূজার প্যাকেজ বানাতে হয়েছিল তাদের।

কাশ্মীর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পর আবার সেখানে পর্যটক নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলি। কলকাতার জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন দফতরের অফিসের কর্তা আসানউল হক বলেন, কাশ্মীরে যে ভারতীয় পর্যটকরা বেড়াতে যান, তাঁদের সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয়। গুজরাটের পরই থাকে পশ্চিমবাংলা। বহু ভ্রমণপিপাসু বাঙালি জানতে চাইছিলে কবে খুলবে কাশ্মীরের দরজা? এখন কাশ্মীরের পর্যটন খুলেছে। প্রচুর মানুষ সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ট্রাভেল এজেন্টস কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইস্ট জোনের (পূর্বাঞ্চল) চেয়ারম্যান অনিলবাবু বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই কাশ্মীরে বেড়ানো নিয়ে প্রচুর মানুষ আমাদের কাছে জানতে চাইছেন। এমনকি এ রাজ্যের বাইরে ভিন রাজ্য থেকেও মানুষ এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

তবে কাশ্মীরে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার আগে পরিস্থিতি আরও একটু খতিয়ে দেখতে চান ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু। তার মতে কাশ্মীর স্বাভাবিক হলে তার চেয়ে আনন্দের কিছু নেই। পর্যটকদের পাশাপাশি আমরাও উৎসাহী। আর একটু দেখে নিতে চাই পরিস্থিতি।



কারণ শেষবার যখন নিষেধাজ্ঞার কারণে ট্যুর বাতিল হয়েছে, তখন কিন্তু ট্যুর অপারেটরদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যে টাকা অগ্রিম দেওয়া ছিল সেখানকার হোটেলে, তার পুরো টাকা আমরা ফেরত পাইনি। কিছু টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা একটু সাবধান হতে চাই। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে যদি দেখি স্বাভাবিকভাবেই চলছে কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প। তখন আমরাও পরিকল্পনা করব।

আর এক ট্যুর অপারেটরের মতে, কাশ্মীরে যখন একবার পর্যটনশিল্প চালু করেছে, সেখানে নিশ্চয় কোনও খুঁত রাখবে না কেন্দ্রীয় সরকারসহ ওই রাজ্যের মানুষ। কারণ গোটা কাশ্মীরের প্রধান উপার্জন পর্যটনশিল্প। সব ঠিক থাকলেই চলতি মাস থেকেই কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কলকাতাবাসী। গোটা মাসটাই পূজার মৌসুম। ফলে কাশ্মীর খুলে যেতে সামগ্রিকভাবে বাঙালিরা খুশি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর