চিটফান্ড কাণ্ডে ইডির চোখ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার দিকে

, কলকাতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-30 03:23:06

এতদিন ধরে টিভি ধারাবাহিকের কলাকুশলী এবং এর সঙ্গে যুক্ত অগণিত কর্মীদের বকেয়া অর্থের দাবিতে সরগরম হয়ে উঠেছিল বাংলা বিনোদনের আঁতুড়ঘর টলিউড। সেই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হতে না হতেই সিনেমা হল উঠে যাওয়ার মত সংকটও দেখা দিয়েছে। এইসব গুরুতর সমস্যার আনাগোনা তো ছিলই কিন্তু এইবার যেন সমস্যা একেবারে টলিউডের গলা টিপে ধরেছে।

রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে, ভারত সরকারের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চোখ পড়ছে টলিপাড়ায়। সরকারি এই সংস্থাটি এর আগে তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদেরও ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। অর্থাৎ অনৈতিক লেনদেন দেখলে হাতে শিকল পড়াতে পিছপা হয় না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অন্যতম শাখা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা ১২টায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। একইসঙ্গে বুধবার (২০ জুলাই) অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকেও তলব করেছে ইডি অফিসে।

এক দিনের ব্যবধানে টলিপাড়ার এক নম্বর জুটিকে তলব করা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গেছে টলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। এর আগে ইডির ডাক পেয়েছিল শতাব্দী রায়, তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তী, পরিচালক শ্রীকান্ত মোহতা। আর নবতম সংযোজন হলেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা।

ইডির সূত্রে জানা যায়, রোজভ্যালির টাকায় ঋতুপর্ণা একাধিকবার বিদেশভ্রমণ, ঋতুপর্ণার জন্য কম পয়সার সিনেমা বেশি পয়সায় কিনতে বাধ্য- এমন একগুচ্ছ অভিযোগ ইডির কাছে করেছেন রোজভ্যালি চিটফান্ডের কর্ণধার গৌতম কুন্ডু।

এইমুহূর্তে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা আমেরিকায় রয়েছেন। সেখান থেকে যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে জানান, আমার অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছে খবরটা শুনেছি। তবে সেখানে শুধু দেখা করার কথাই বলা আছে। আমার নামে কোনও চিঠি আসেনি। চিঠি এসেছে ‘ভাবনা আজ ও কাল’ কর্ণধারের নামে। কোম্পানির কর্ণধার হিসেবে যাব। সরকারি তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করব।’

এরআগে রোজভ্যালি প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে একাধিক ভালো ছবি হয়েছে। গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’ এবং কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘শব্দ’ দুটি ছবিই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল, যার প্রযোজনা করেছিল গৌতম কুণ্ডুর সংস্থা।

মনের মানুষ ছবিতে মূল অভিনেতা ছিলেন প্রসেনজিৎ। টলিউডের এই জুটিকে তলব প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে গৌতম ঘোষ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কী বলি বলুন তো! একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। তার মধ্যে যে এত জটিলতা রয়েছে তা জানতাম না। আইন আইনের পথে চলবে। পেশাদার পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি ছিল। আমাদের দিক থেকে পুরোটাই নিয়মমাফিক ছিল।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর