বিদেশে যাওয়ার সময় আছে, গ্রাম দেখার সময় নেই প্রধানমন্ত্রীর: প্রিয়াঙ্কা

, কলকাতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 04:28:31

২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর গত পাঁচ বছরে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ালেও নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারানসির একটি গ্রামেও যাওয়ার সময় তার হয়নি। এমনই কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'বারানসির মানুষের কাছ থেকে বিষয়টা শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। যে প্রধানমন্ত্রী এখানকার অন্তত একটি গ্রামেও গত পাঁচ বছরে আসেননি। এমনকি নিজের লোকসভা কেন্দ্রের একটি পরিবারের সঙ্গেও তিনি কথা বলেননি।'

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়েও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'তিনি (মোদি) আমেরিকা, চীন, জাপান, লন্ডনসহ গোটা বিশ্বে গিয়েছেন। কিন্তু নিজের যে কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন সেখানে আসার সময় হয়নি তার। নিজের কেন্দ্রের মানুষের জন্য তিনি কিছুই করেননি। আর এটা কোনো ছোট বিষয় নয়। এটা অনেক বড় বিষয়। আর এটাতেই একটি সরকারের মানসিকতায় স্পষ্ট হয়ে যায়।'

এরা (মোদি সরকার) ধনীকে আরও ধনী করে তুলছে এবং গরিবকে সাহায্য না করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে। মোদি সরকার, নিষ্ক্রিয় বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার জনবিরোধী এবং কৃষকবিরোধী সরকার। বিজেপি সরকারি সব প্রতিষ্ঠান, সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তাই সঠিক সরকারকে বেছে নিতে হলে সচেতন হয়ে ভোটদান করতে হবে।'

তিনি উত্তরপ্রদেশের মানুষদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'খুব ভালোভাবে এবার ভেবে দেখা সময় এসে গিয়েছে। আপনি কাকে নির্বাচন করবেন, সেটা সঠিক ভাবে বুঝে তবেই ভোট দিন।'

প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে দলের শক্তি বাড়াতে এবং কংগ্রেস কর্মীদের উজ্জীবিত করতে প্রিয়াঙ্কার কাঁধেই মূল দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন দলের সভাপতি তথা তাঁর ভাই রাহুল গান্ধী। আর তারপর থেকেই উত্তরপ্রদেশে জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

তবে বোন প্রিয়াঙ্কার হাতে গুরুভার তুলে দিয়ে রাহুল গান্ধী খুব ভুল করেননি, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন স্বয়ং প্রিয়াঙ্কাই। প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে আসার পর বেড়েছে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা। মাত্র দুই মাসেই ২২ শতাংশ সদস্য বেড়েছে কংগ্রেসের। যার মধ্যে মহিলারা সংখ্যা বেশি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর