কলকাতার রসগোল্লা স্বাতীর হাত ধরে ডুব দিয়েছে ফিউশনে

, কলকাতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:20:19

তুলতুলে নরম, ধবধবে সাদা এবং রসে টইটুম্বুর চেহারার মিষ্টি মানেই কলকাতার বাঙালির রসগোল্লা। ইতিহাস বলছে ১৮৬০ সাল থেকে বাঙালির পরিচয়ের সাথে জড়িয়ে গেছে রসগোল্লা। সময়ের সাথেসাথে পরিবর্তন হয়েছে বাঙালির। পাল্টেছে রুচি, পোশাক, সঙ্গীত, সাহিত্যসহ অনেক কিছুই। এতকিছু পাল্টালেও এতদিন অব্দি পাল্টায়নি বাঙালির রসগোল্লা। এতদিন রসগোল্লার বৈচিত্র্য বলতে ছিল চিনির রস বা নলেন গুড়ের স্বাদ। অবশ্য গুড়ের স্বাদ শীতের সময়টুকু ছাড়া পাওয়াই ছিল দুষ্কর। কিন্তু এবার স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে একেবারে আপাদমস্তক পরিবর্তন এসেছে কলকাতার রসগোল্লার। আর পরিবর্তন এসেছে স্বাতী সরাফ কাশেরা-র হাত ধরে।

এক নয়, দুই নয় স্বাতী রসগোল্লার সাথে যুক্ত করেছেন ২৫০ রকমের ভিন্ন স্বাদ। অবাক লাগলেও স্বাতী তা সম্ভব করেছে। দক্ষিণ কলকাতার লেকমলে স্বাতী-স ফ্লেভারড রসগোল্লা-র দোকানে আসলেই দেখতে পাবেন সারি সারি হাঁড়িতে রাখা রয়েছে নানা বর্ণের রসগোল্লা। যা আপনার চোখ টানবেই! শুধু রঙ নয়, স্বাদেও ভিন্ন, কোনোটি আম, কোনোটি স্ট্রবেরি, আবার কোনোটি লিচু কিংবা ব্ল্যাকবেরি ফ্লেভার।

স্বাতী সরাফ কাশেরা পারিবারিক সূত্রে অবাঙালি হলেও কলকাতাতেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। আজ স্বাতী মনেপ্রাণে বাঙালি। কলকাতা তাকে নাম দিয়েছে- রসগোল্লা সম্রাজ্ঞী। এই সম্রাজ্ঞীর হাতেই রসগোল্লায় মিশেছে তরমুজ থেকে করলা! চমকে ওঠার কিছু নেই আরও আছে, মিশেছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজও। বাদ নেই ফুচকা রসগোল্লার।

শুরুর বছর দুয়েকের মধ্যেই কমকরে প্রায় পাঁচশ বিয়ের অনুষ্ঠানে বরাত পেয়েছে স্বাতীর ফিউশন রসগোল্লা। এছাড়া প্রতিদিন দোকান থেকে বিক্রি হয় গড়ে প্রায় তিনশোর বেশি। আধুনিক প্রজন্ম মিষ্টি বিমুখ বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু স্বাতী বলছে কলকাতার প্রজন্মর কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় হচ্ছে তার তৈরি রসগোল্লার ফিউশন।

২০১৭ সালে জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিটি) পায় পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা। জিআই অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীতে রসগোল্লার আদি বসত বাড়ি কলকাতা। সম্প্রতি তার সাথে যুক্ত হলো স্বাতী সরাফ কাশেরার ফিউশন ফ্লেভারড রসগোল্লা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর