পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে দিল্লিতে বৈঠক

, কলকাতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 05:38:56

ভারতে লোকসভা (জাতীয় নির্বাচন) নির্বাচনের আগে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর সিআরপিএফের উপর আক্রমণ এবং ৪৪ জন সেনার মৃত্যু সাম্প্রতিককালের সব থেকে বড় ঘটনা। নির্বাচনের আগে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যকে নির্বিচারে হত্যা করায়  ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর প্রবল চাপে পড়েছে। এর ফলে শুরু হয়েছে মাস্টারপ্ল্যান কিভাবে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়া যায়।

ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, জঙ্গিরা যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র এই অপারেশনে ব্যবহার করেছে তা পাকিস্তানের সরবরাহ করেছে। পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক চলছে দিল্লিতে।

ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সেনাদের বলিদান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারতের উপর এই হামলার উপযুক্ত প্রতিশোধের জন্য যেন প্রস্তুত থাকে দোষীরা। এই কঠোর হুঁশিয়ারি কি আবার সার্জিকাল স্ট্রাইকেরই পদধ্বনি?

এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ অবশ্য সরকারিভাবে মুখ খোলেনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই ঘটনার খবর দিল্লি আসতেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। রাতেও দিল্লির নর্থব্লকে বসে বৈঠক।

এ ঘটনার পর স্পষ্টতই প্রবল চাপের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। বিজেপির অভ্যন্তরেও চাপ শুরু হয়েছে। এই হামলা নীরবে মেনে নিলে বিরোধীরা আসন্ন নির্বাচনে অবশ্যই বড়সড় ইস্যু করবে। পাশাপাশি এভাবে নিজেদের সেনাদের শহীদ হওয়াও মেনে নিতে রাজি নয় প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। কাশ্মীরে কর্তব্যরত সেনাদের মধ্যেও প্রবল রোষ তৈরি হয়েছে। রাত থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। কারণ জঙ্গি বাহিনীর এতবড় অপারেশনে অবশ্যই আরও দোষীরা যুক্ত আছে বলে নিশ্চিত বিশ্বাস ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তাই চলছে চিরুনি তল্লাশি। সমস্ত সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি হয়ে গিয়েছে।

এমন আক্রমণ করার জন্য জঙ্গিদের যে হোমওয়ার্ক দরকার হয়েছে তার প্রস্তুতির সামান্য খবর ভারতীয় গোয়েন্দা মারফত কেন পাওয়া গেল না? অথবা কোনো গোয়েন্দা বার্তাই কী ছিল? কিন্তু তা লঘু করে দেখা হয়েছে? এসব প্রশ্ন খোঁজা হচ্ছে। আর তার আড়ালে চলছে প্রতিশোধের প্ল্যান। সেটা কি সার্জিকাল স্ট্রাইক? নাকি আরও বড় কিছু? নির্বাচনের আগে এত বড় ঘটনায় মোদি সরকার নড়ে উঠলেও, এখনও অবধি এই অন্যায়ের প্রতিবাদে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে, এক ভাষায় কথা বলছেন সাধারণ মানুষ থেকে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর