বিশ্ব হিজাব দিবস ১ ফেব্রুয়ারি

ইসলামি খবর, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 12:27:03

হিজাব মুসলিম নারীদের পোশাক বিশেষ, যা ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতীক। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে নিজেদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষার উপকরণ হিসেবে এই পোশাকটির পরিচিতি রয়েছে মুসলিম বিশ্বে।

বিশ্বে হিজাব পরিহিত নারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে শালীন পোশাক ও নিজের নারী সত্তার রুচিশীল ও মার্জিত বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হিজাবের প্রতি নারীদের সমর্থন ও আকর্ষণ।

সেই হিজাব কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এবং পর্দার ব্যাপারে ইসলামি বিধান অনুসরণকারী সব মুসলিম নারীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গত ৬ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে নানা রকমের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস।’ এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার নিউ ইয়র্কে পালন করা হবে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস।’

হিজাব দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবারও সিটি হলের বারান্দায় ওইদিন হিজাবধারী নারীরা বেলা ১২টায় জড়ো হবেন। সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সেখান থেকে হিজাব বিরোধী মনোভাব পরিহার, ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো হবে।

হিজাব দিবস পালনের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশি এ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা বলেন, কয়েক বছর আগে নাজমা খান নামক এক বাংলাদেশি ছাত্রী পোশাকের কারণে জ্যামাইকায় আক্রান্ত হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ, নিন্দা এবং সর্বসাধারণকে সচেতন করার জন্য হিজাব দিবস পালন শুরু হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই চেতনায় দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। কারণ এখনও ধর্মীয় পোশাক, জাতিগত কারণে বৈষম্যের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বিশ্বে।

এবারের হিজাব দিবসের স্লোগান হচ্ছে- ‘হিজাব ইজ মাই ফ্রিডম’, ‘হিজাব ইজ মাই প্রটেকশন’, ‘হিজাব ইজ মাই চয়েস’ ও ‘হিজাব ইজ মাই কভার’ ইত্যাদি।

হিজাব দিবসের সঙ্গে ইতোমধ্যে সংহতি প্রকাশ করেছেন ৪৫টি দেশের ৭০ জনের অধিক রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা রাজনীতিক ও স্কলারসহ টাইম ম্যাগাজিন, সিএনএন’র মতো বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম।

এ সামাজিক আন্দোলনটি বিবিসি ও আল জাজিরার মতো মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোতে ব্যাপক কভারেজ পেয়ে আসছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগে খোলা হয়েছে শত শত হিজাব বিষয়ক ফেসবুক পেইজ ও ব্লগ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিজাব পরিধান নিয়ে আইনি লড়াই করে মুসলিম নারীরা বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, হিজাব পরিধানের নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর