অস্থায়ী পাসপোর্ট নিয়ে হজপালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ফিলিস্তিনের জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ১৯৭৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা জর্ডান ও লেবাননের অস্থায়ী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে যাতায়াত করেন। কিন্তু রিয়াদ সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তাদের হজ ও উমরা পালন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অস্থায়ী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাকে পশ্চিমা গণমাধ্যম ফিলিস্তিনিদের ওপর হজপালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বলে অভিহিত করেছে। যদিও এ বিষয়ে সৌদি আরবের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনেক আগে থেকেই এদিকে ইসরাইলি নাগরিকত্বে ফিলিস্তিনি নাগরিকদেরও সৌদি আরব ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাধারণত সৌদি আরবসহ ১৬ আরব দেশে ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
ফলে নতুনভাবে আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি হজ পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
নিরাপত্তজনিত কারণে সৌদি আরব তার দেশের পাসপোর্টের নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ নীতি কার্যকর করা হচ্ছে। ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইলি নাগরিকদের উমরা পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের নতুন নীতিতে ক্ষতির মুখে পড়বেন। যা ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ। এ ছাড়া পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা সৌদি আরবের নতুন এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন।
হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইলের হজ ও উমরা কমিটি তাদের জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বরে মক্কা শরিফে যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে ইসরাইলের হজ ও উমরা কমিটির প্রধান সালিম শালাতা আল জাজিরাকে বলেন, যা ঘটেছে তা নিয়ে আমাদের কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। কাজেই সম্ভাব্য সব জায়গায় আমরা সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের অনুরোধ কেউ শুনছে না। আমরা জানি না, আসলে কি হতে যাচ্ছে।
অবশ্য মিডলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের দিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনিদের হজপালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
-আল জাজিরা অবলম্বনে