মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের হাতে সময় আর দুই দিন!

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 00:01:03

 

ঢাকা: আর মাত্র দুদিন সময় রয়েছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্যে। ক্ষমা প্রার্থনা করে বাংলাদেশে ফেরার দিন শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ আগস্ট।

তবে বিদেশি শ্রমিকদের এভাবে দেশে ফিরিয়ে দিলে চরম শ্রমিক সংকটে পড়বে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছে দেশটির শিল্প ব্যবসায়ীরা।

আগামী ৩১ আগস্ট শুক্রবারের পর থেকে অনিবন্ধিত বা অবৈধ বিদেশি শ্রমিকরা গ্রেপ্তার হলে সর্বোচ্চ ৫ হাজার রিঙ্গিত এবং ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আর শনিবার থেকেই অবৈধ অভিবাসী ধরার অভিযান আরো সক্রিয় হবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

গত ৩০ জুন মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃনিবন্ধনের সময় শেষ হলে ১ জুলাই থেকে শুরু হয় অপারেসি মেগা থ্রি। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি আটক হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপারশেন মেগা থ্রি চলাকালে (৩+১) প্রকল্পের আওতায় স্বেচ্ছায় আইনের হাতে সমর্পণের সুযোগ দেয়া হয় অবৈধদের। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শ্রমিকদের ২০১৮ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীরা এই থ্রি প্লাস ওয়ান প্রকল্পের অধীনে নিবন্ধন করলে আবারো মালয়েশিয়ায় ঢুকতে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পোহাবে। তবে নিবন্ধনের পর ৭ দিনের মধ্যে ফিরে যাওয়ার বিমানের টিকেট সঙ্গে থাকতে হবে। এই প্রকল্পে নিবন্ধনের আবেদনের জরিমানা ৩০০ রিঙ্গিত এবং ট্রাভেল ফি ১০০ রিঙ্গিত।

এদিকে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকরা ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের শ্রমিক সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছে। তারা বলছেন, সরকারের উচিত আরো কিছুদিন সময় বাড়িয়ে দেয়া। আবার একই সময়ে নেপাল যেমন শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে, সরকারও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনা স্থগিত করেছে। ক্ষমা দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আগামী মাস থেকে কি হবে, সরকারের সে বিষয়ে পরিস্কার করা উচিত।

জে লুইস নামে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, আমার কোম্পানির জন্যে ১০০ এর উপর বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্যে থ্রি প্লাস ওয়ান প্রকল্পে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেছি। কিন্তু এখন এই সংকট দূর করবো কিভাবে! আমরা মালয়েশিয়ান শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা দীর্ঘদিন থাকতে চান না। জালান দুতা ইমিগ্রেশন অফিসের এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‌সবাইকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে!

এরই মধ্যে ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকেও সোজাসাপ্টা বলে দেয়া হয়েছে আগামী ৩১ আগস্টের পর থেকে ক্ষমা প্রার্থনার এই সময় আর বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

লুইস বলেন, আমার যে শ্রমিকদের দেশে পাঠাতে হয়েছে তাদের পেছনে আমার ৩ হাজার রিঙ্গিত করে খরচ হয়েছে। এটা আমার জন্যে খুবই চাপের। কর্তৃপক্ষের একটি স্বিদ্ধান্তে আসা উচিত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর