জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেনের হাতে তুলে দিচ্ছে ইকুয়েডর!

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 13:30:29

বিশ্বখ্যাত হ্যাক্টিভিস্ট ও বিকল্প ধারার সংবাদকর্মী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেন সরকারের কাছে তুলে দেয়া হচ্ছে। আগামী যেকোন সপ্তাহ বা দিনে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ানকে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে সোপর্দ করছে ইকুয়েডর। রাশিয়া টুডে (আরটি)এর বার্তা প্রধান সম্পাদক মার্গারিতা সিমোনিয়া এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি টুইট করেন। তবে এই ব্যাপারে ব্রিটেন বা ইকুয়েডর আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বিবৃতি দেয়নি।

মার্গারিতা টুইট করেন, আমার সোর্সেস (সংবাদ সূত্রগুলো) বলেছে আগামী যেকোন সপ্তাহে কিংবা দিনে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেনের কাছে সোপর্দ করবে ইকুয়েডর।

নিজের বক্তব্য এর সত্যতার ব্যাপারে সিমোনিয়া বলেন, পূর্বের  যেকোন সময়ের মত নয়, আমি আশা করি এইবার আমার সোর্সেরা ভুল হোক!

এদিকে ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনেও দেখা যাচ্ছে ব্রিটেন ও ইকুয়েডরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে আলোচনা করছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ্যালান ডানকান এই আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ইকুয়েডরের নয়া নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লেনিন মরিনো পূর্বসূরী রাফায়েল কোরিয়ের মত উদার ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী না হওয়ায় এ অ্যাসাঞ্জের এই দশা হতে চলেছে।

কিছু দিন আগে লেনিন মরিনো ব্রিটেন সফর করেন। এরপরই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ফিরিয়ে দেয়ার গুঞ্জন শুরু হয়।

মরিনো জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ‘হ্যাকার’  ‘পরম্পরাগত সমস্যা’ এবং ‘জুতার সঙ্গে লেগে থাকা পাথর’ইত্যাদি নেতিবাচক সম্বোধন করে থাকেন বলে ব্রিটেনের সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ তার বিকল্প ধারার ওয়েবসাইট উইকিলিক্সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গোয়েন্দাবৃত্তির বহু দলিল ফাঁস করে দিয়ে মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তির চক্ষুশূল হন। এর মধ্যে সুইডেনে তার বিরুদ্ধে ‘যৌনকর্মের সময় কনডম ব্যবহার না করার’ অভিযোগ তোলে দুই তরুণী।

সুইডিশ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ডাটা সংবাদকর্মী ও তথ্যের বাঁশিওয়ালাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করে।

তবে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ অ্যাসাঞ্জের পাশে থাকে। ২০১২ সালে ইকুয়েডর তাদের ব্রিটিশ দূতাবাসে আশ্রয় প্রদান করে। সেই থেকে  অ্যাসাঞ্জ ওখানেই অবস্থান করছেন।

বিশ্বব্যাপী তাঁর এই অবরুদ্ধ শরণার্থী জীবনের অবসানের জন্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হয়েছে। কারণ ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে।

আর এ কারণেই জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের দূতাবাসের এই অবস্থাকে ‘বেআঈনী বন্দিত্ব’ বলে। কিন্তু তাকে মুক্তির জন্য এই সব প্রতিশব্দ যথেষ্ট নয়।

সেকারণেই ব্রিটেনের হাত ঘুরে সুইডেন হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে পড়বেনা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-এর কোন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেনা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর