পর্যটনে আসিয়ান কাতারে যেতে চেষ্টা মিয়ানমারের

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-31 23:08:56

অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, সুইজারল্যান্ড এবং রাশিয়ার পাসপোর্টধারীদের জন্য মিয়ানমারে ঢুকতে আগে থেকে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ দেশগুলোর নাগরিকরা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, মান্ডল কিংবা নেপিডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যে কোনোটি একটিতে নেমেই অন অ্যারাইভাল ভিসা পাচ্ছেন। খরচ মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার।

ছয়টি দেশের পাসপোর্টধারীদের আর পূর্ব-ব্যবস্থাপনার অনুমোদনের প্রয়োজন না হওয়ার কথা গত ১ অক্টোবর জানিয়েছিল মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ।

শুধু তাই নয় মিয়ানমারকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে রোববার (৬ অক্টোবর) মিয়ানমার ট্যুরিজম মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ড. মায়াট সোম উইন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, মিয়ানমারকে পর্যটন দেশে পরিণত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সাথেও প্রতিযোগিতা করছি। আসিয়ান এ দেশগুলো প্রধানতম পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত।

মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার সহজ করার নতুন নিয়মাবলী বিশ্বজুড়ে আরও বেশি ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।

গত বছর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে পর্যটকদের মিয়ানমারে ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল এবং এশিয়া থেকে আরও বেশি দর্শনার্থী টানতে  ভারত ও চীনের নাগরিকদেরও এমন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ফলস্বরূপ পর্যটনে উন্নতির লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে সেদেশের সরকার।

মিয়ানমার ট্যুরিজম মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ড. মায়াট সোম উইন বলেন, এ বছর মিয়ানমারে ভ্রমণকারী এশিয়ান পর্যটকরা বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে জাপানি পর্যটকদের আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মিয়ানমারে ২০১৯ সালে পর্যটন সংখ্যার সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

মিয়ানমারের হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, বছরের প্রথম আট মাসে ৮২ হাজারের বেশি জাপানি পর্যটক দেশটি পরিদর্শন করেছেন। গত বছরে ছিল ৬৫ হাজারের মতো। বিদেশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে, বছরজুড়ে প্রমোশন, প্রচার, অফার দেওয়া হচ্ছে।

মায়াট সোম উইন বলেন, মিয়ানমারের জন্য জাপানি বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আরও বেশি দর্শনার্থীর এই বছরের শেষ অবধি আসার প্রত্যাশা রয়েছে।

আরও জাপানি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার, মিয়ানমার ট্যুরিজম ফেডারেশন এবং মিয়ানমার রেস্তোরাঁ সমিতি এই মাসে জাপানের ওসাকার জেট্রো এক্সপো চলাকালীন দেশের পর্যটন শিল্পকে প্রচার করবে।

মিয়ানমারে অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে জাপানি পর্যটকরা ইয়াঙ্গুন, বাগান এবং ইনলে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাপানি ব্লগার এবং সাংবাদিকদের এই অঞ্চলগুলো সম্পর্কে পর্যটকদের আকর্ষণ হিসাবে পরিচয় করানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

মিয়ানমার ট্যুরিজম মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন যে নয়টি গন্তব্য প্রচার করছে তার মধ্যে অন্যতম  হল মোগোক, এইচসিপা, লোইকাও, এইচপা-আন, কালাও এবং মাউন্ট ভিক্টোরিয়া।

এ সম্পর্কিত আরও খবর