বিশ্বে রক্ষণশীল ইসলামিক দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। নানা কারণে সৌদি আরব বরাবরই আলোচনার শীর্ষে। সেটা অপরাধ, ধর্ম চর্চা কিংবা রাজনীতির কারণে হোক।
সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা সৌদি আরবের ইতিহাসে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে। প্রথা ভেঙে সৌদি সরকারের নেওয়া বেশ কিছু উদ্যোগ সারা বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নারীদের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা, অফিস ও বিমানবন্দরে কাজের অগ্রাধিকার, গাড়ি চালানো অনুমতি ইত্যাদি সুযোগ সৃষ্টি করে নিত্যনতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে সৌদিআরব।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক প্লেন ওড়ানোর অনুমতি পেয়েছে ইয়াসমিন আল মায়মানি নামে এক নারী পাইলট। অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স পাওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ইয়াসমিনকে।
স্থনীয় গণমাধ্যমের সূত্র জানায়, জর্ডানে বাছাই পর্বে কৃতকার্য হয়ে ইয়াসমিন যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রশিক্ষণের জন্য। সেখানে ৩০০ ঘণ্টা প্লেন ওড়ানোর অভিজ্ঞতা পূরণ করে লাইসেন্স অর্জন করেন তিনি।
২০১৩ সালে সৌদি আরব থেকে পান অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স। তারপর ইয়াসমিনের অপেক্ষার পালা শুরু হয়। সৌদি সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক প্লেনের পাইলট হতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ছয়টি বছর।
শুক্রবার (১৪ জুন) সৌদি-মিসর রুটে চলাচলকারী নেসমা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন তার এক টুইট বার্তায় সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অবশেষে আমি প্রথম বাণিজ্যিক নারী পাইলট হিসেবে বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছি’।
সৌদি সরকারের এহেন উদারপন্থি নীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিমধ্যে বেশ চর্চাও শুরু হয়েছে।