ভারতের নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তার দল লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে একাই লড়বে। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ওই রাজ্যে আপ কংগ্রেসের মধ্যে কোনও জোট হচ্ছে না।
তখন রাজনৈতিক মহলে এটাই প্রশ্ন উঠেছিল, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে কেজরির? রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আপ প্রধান জানান, পাঞ্জাবে একা লড়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে নেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে কংগ্রেস নেতা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন কেজরিওয়াল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আপ এবং কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে যৌথভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দুই দল পৃথকভাবে লড়বে পাঞ্জাবে। এ নিয়ে কোনও শত্রুতা নেই।’
বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’য় এক মঞ্চে থাকলেও কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এমন খবরে গত কয়েক দিন সরগরম ছিল ভারতের জাতীয় রাজনীতি।
পাঞ্জাবে কেজরির একা লড়ার ঘোষণার পর দুই দলের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব নিয়ে গুঞ্জন আরও বেড়েছিল। তবে রোববার কেজরির ঘোষণার পর সেই গুঞ্জনের অবসান ঘটল বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা।
কেজরিওয়াল রোববার বলেন, ‘আমরা দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করছি। আসন সমঝোতা নিয়েও কথা চলছে। জোট না হলে বিজেপির জন্য সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে সব কয়টিই বিজেপির দখলে ছিল। ২০২৪ সালে সেই অঙ্ক পাল্টে ফেলার টার্গেট নিয়েছে আপ-কংগ্রেস।
কেজরিওয়াল ছাড়াও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানও একা লড়ার কথা বলেছিলেন।
আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে আগেই জানান হয়েছে, পাঞ্জাব এবং চণ্ডীগড় মিলিয়ে ১৪ আসনে একা লড়বে তার দল। কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না।
কয়েক দিন আগে চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়েছিল আপ-কংগ্রেস।
সেই ভোটে তাদের ভরাডুবি হয়। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল দুই দলই। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্বাচিত হন বিজেপির মনোজ সোনকার।