সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে সক্রিয় সিপিএম

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-01-21 15:18:20

সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে দরজা খুলে দিলেও তাকে প্রচারে ব্যবহারের খুব একটা আগ্রহ আগে দেখায়নি পশ্চিমবঙ্গের সমাজতন্ত্রপন্থী সিপিএম। এনডিটিভি জানিয়েছে, দলে বৃদ্ধতন্ত্রের ভিত কিছুটা নড়ে যেতেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করেছে।

গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোড়ন ফেলে ‘টুম্পা সোনা’ প্যারোডি। ঘটনাচক্রে তার পরে, গত চার বছরে বিভিন্ন সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে সিপিএমের ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর কৃতিত্ব দলের তরুণ প্রজন্মকেই দিচ্ছেন দলের প্রবীণরা।

সিপিএম থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষে দলের রাজ্য কমিটির ফেসবুক পেজের ফলোয়ারের সংখ্যা হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার। যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র তিন লাখ এক হাজার।

অর্থাৎ, চার বছরে ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে দেড় লাখেরও বেশি। শুধু ২০২৩ সালে ফলোয়ার বেড়েছে ৫০ হাজার। রাজ্য সিপিএমের ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই লাখ ৩১ হাজার।

এদিকে, এখন সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক্স হ্যান্ডল নিয়মিত দেখেন এক লাখ ৫৭ হাজার ব্যক্তি। এই মাধ্যমে চার বছরে ফলোয়ার বেড়েছে ৯৫ হাজার।

২০২৩ সালের শেষে রাজ্য সিপিএমের ইনস্টাগ্রাম পেজের অনুসারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার, যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র সাড়ে ৮ হাজার। গত বছর এই মাধ্যমে অনুসারির সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজারের বেশি।

সিপিএমের রাজ্য কমিটির টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলও খোলা হয়েছে।

দলের রাজ্য কমিটির সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে শাখার দায়িত্বে থাকা রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব বুঝতে আমাদের একটু দেরি হয়েছে ঠিকই। তবে এখন সমাজমাধ্যমে প্রচারের দৌড়ে তৃণমূল বা বিজেপির সঙ্গে আমাদের দূরত্ব প্রায় ঘুচে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে যতই এগোই না কেন, ময়দানের লড়াইটাই মূল। সেখানে আরও এগোতে হবে।’

গত বছর রাজ্য সিপিএমের ইউটিউব চ্যানেলে ৩৫৬১টি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেগুলো দেখেছেন তিন কোটি ২০ লাখের বেশি দর্শক।

ইনস্টাগ্রামে এক হাজারের বেশি ‘রিল’ দেখানো হয়েছে। দেখেছেন ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। গত বছর সিপিএম রাজ্য কমিটির এক্স হ্যান্ডল থেকে ২২৪১টি পোস্ট হয়েছে।

এখন প্রত্যেক জেলায় সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম শাখা রয়েছে সিপিএমের। বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার শাখা খুব ভাল কাজ করছে। সদস্য-সংখ্যা বাড়ায় রাজ্য শাখাকে ভাঙার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে সিপিএমের।

এক তরুণ সিপিএম নেতার বক্তব্য হলো, ‘সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম সম্পর্কে দলের রাজ্য নেতৃত্বের মনোভাব বদলেছে বলেই এই কাজের পরিকাঠামো বাড়ানো গেছে। যার ফলে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে রাজ্য সিপিএমের অনুসারির সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।’

এক্ষেত্রে দলের এক রাজ্য কমিটির সদস্যের ব্যাখ্যা হলো, ‘রাজ্য ও জেলায় সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম শাখা চালান স্বেচ্ছাসেবকেরা। তবে তাদের পেশাগত দক্ষতা রয়েছে। প্রসঙ্গ নির্বাচন এবং উপস্থাপনায় তার প্রতিফলন ঘটে। এটিও সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম আমাদের উপস্থিতি বাড়ার অন্যতম কারণ।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর