‘রাম মন্দিরের জমি সোনার চেয়েও দামি’

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-21 12:48:19

রাম মন্দিরের জমি সোনার চেয়েও দামি বলে মন্তব্য করেছেন জমি বিক্রেতা রাম সুরত ভার্মা। আলজাজিরার সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ভার্মার বাড়ি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা জেলার টাকপুরা এলাকায়। পেশায় তিনি একজন কৃষক। সোমবার (২২ জানুয়ারি, ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্দিরের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

ভারতের মুসলিমদের অসন্তোষের মুখে এ মন্দির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ১৯৯২ সালে কয়েক হাজার হিন্দু সন্যাসী রাম মন্দির ধ্বংসের পর জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। এতে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়। এর বেশির ভাগই ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

আলজাজিরা রোববার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৯ সালে যখন রাম মন্দিরের জন্য রাম সুরত ভার্মার জমি কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন তিনি তা বিক্রি করতে অস্বীকার করেন। পরে তার জমির মূল্য সেসময়ের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ দেওয়ার কথা জানানো হয়।

ভার্মার জমির পরিমাণ ছিল ১.৫৫ একর। এ জমি কিনতে মোট ২৫ মিলিয়ন রুপি (৫ লাখ মার্কিন ডলার) ভার্মাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় ঘোষণা করলে ওই এলাকার জমির দাম হু হু করে বেড়ে যায় বলে জানান সুরত ভার্মা। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের আগে জমি বিক্রি করে আমি ভুল করেছি। এ জমির দাম সোনার চেয়েও বেশি’।

রাম মন্দির থেকে সাত কিলোমিটার দূরে রাম সুরত ভার্মার আরো ৪.৬৫ একর জমি রয়েছে। তিনি জানান, আমার এটুকু জমি বিক্রি করার জন্য জমির দালাল থেকে শুরু করে ক্রেতারা রোজ আমার বাড়িতে ধর্ণা দিচ্ছেন। তারা উচ্চ মূল্যে আমার জমি কিনতে চাইছেন। কিন্তু আমি আগের মতো আর ভুল করতে রাজি নই।

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ভারতের উচ্চ আদালত বিতর্কিত বাবরি মসজিদ এলাকায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। আদালত অযোধ্যাতেই মসজিদ নির্মাণের জন্য আলাদা ৫ একর জমি বরাদ্দ করেন। সেখানেই মে মাসে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান হাজি আরাফাত শেখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর