দিন কয়েক শান্ত থাকার পরে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের রাজ্য মণিপুর। কুকিরা বিষ্ণুপুরের মেইতেই গ্রামে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
অন্যদিকে, মেইতেইরা ফের রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ানের উপরে হামলা চালিয়ে তাদের অস্ত্র লুটের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
থৌবালে বৃহস্পতিবার রাতে রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরেও আক্রমণ চালিয়ে অস্ত্র লুঠের চেষ্টাকালে গুলিতে আহত হন বিএসএফের এএসআই শোভরাম সিং, এএসআই রামজি ও কনস্টেবল গৌরব কুমার। বৃহস্পতিবার রাতেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার পৌঁছে ইম্ফলে।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুর ও কাংচুপে অন্তত চার মেইতেইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিষ্ণুপুর জেলা ও কুকি-প্রধান চূড়াচাঁদপুর জেলার সীমানার কাছাকাছি থাকা নিংথৌখং খা খুনৌ নামে মেইতেই গ্রামে ঢুকে হামলা করে কুকি জঙ্গিরা।
পরে খা খুনৌ জলাধারের কাছে উদ্ধার হয় ওইনাম আহোংজাও সিং, তার ছেলে মণিতোম্বা সিং ও থৈয়াম সোমেন সিংয়ের মৃতদেহ। নিংথৌজাম নবদ্বীপ নামে এক জন নিখোঁজ রয়েছে। পশ্চিম ইম্ফলের কাংচুপে গত রাতে কুকিদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা যান এক গ্রামরক্ষীও।
রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জঙ্গি বা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা এ পারে ঢুকে আক্রমণ করে বলে সন্দেহ করা হলেও প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে, মোরেতে কান্নান ও ফাইচাম এলাকায় ১১টি বাড়ি, তিনটি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে মণিপুর কমান্ডো বাহিনী।
কুকি-চিন-জো-দের যৌথ মঞ্চ জো ইউনাইটেডের অভিযোগ, এন বীরেন সিংয়ের সরকার আরাম্বাই টেঙ্গল ও মেইতেই জঙ্গিদের কুকি-নিধনে সরাসরি কাজে লাগাচ্ছে।
কুকিদের দাবি, চিন বা পাকিস্তান স্বাধীনতার পর থেকে দেশের যে ক্ষতি করতে পারেনি, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার তা করে দেখিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘মণিপুরে গৃহযুদ্ধ চলছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেখানে আসার সময় পাচ্ছেন না!’