ভারতে এক দিনে প্রায় ৮০০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতজুড়ে নতুন করে ৭৯৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪,০৯১ জন।
এক দিনে পাঁচ জনের মৃত্যুও হয়েছে করোনায়। তাদের মধ্যে দুজন কেরালার বাসিন্দা। এছাড়া, মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুতে এক জন করে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মারা গেছেন।
করোনার যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে, ভারতেও সেই ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ রয়েছে। এই মুহূর্তে ওই ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে দেশের মোট ১৫৭ জনের শরীরে। তাদের মধ্যে সংখ্যাটা কেরালাতেই সবচেয়ে বেশি।
দক্ষিণের ওই রাজ্যে মোট জেএন.১ ভ্যারেয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৮ জন। এছাড়া, গুজরাতে ৩৪, গোয়ায় ১৮, কর্নাটকে আট, মহারাষ্ট্রে সাত, রাজস্থানে পাঁচ, তামিলনাড়ুতে চার, তেলঙ্গানায় দুই এবং দিল্লিতে একজনের শরীরে ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও কারও দেহে জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলেনি।
শীতের মৌসুমে গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে এর সংক্রমণ বেড়েছে। শীর্ষে রয়েছে কেরল এবং কর্নাটক। গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুও খুব একটা পিছিয়ে নেই।
উল্লেখ্য, করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের হদিস প্রথম মেলে কেরালায়।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জেএন.ভ্যোরিয়েন্টের সন্ধান মেলে। তারপর একে একে ইউরোপের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে এটি। চীনের হাসপাতালে ভিড় বাড়তে শুরু করে করোনা রোগীর। তবে এখনও পর্যন্ত জেএন.১-এ মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট আগের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে না। তবে চারদিকে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে সতর্ক এবং সাবধানে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।